September 8, 2024
জাতীয়

যুবলীগ নেতা খালেদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের, ৭ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আদালতে তুলে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা তার ৭ দিনের রিামন্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা দায়ের করেন। আর মতিঝিলি থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্র“ মার্মা। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ চক্রবর্তী ও র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) মিজানুর রহমান।

সুদীপ চক্রবর্তী জানান, বুধবার রাতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আলাদা ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গুলশান বিভাগের ডিসি আরও জানান, বুধবার খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি শটগান, দু’টি পিস্তল, শটগানের ৫৭ রাউন্ড গুলি ও ৭.৬৫ এমএম-এর ৫৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এছাড়া, ৫৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১০ লাখেরও বেশি দেশি নগদ টাকা ও ৭ লাখের বেশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।

সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দু’টি মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে  গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছি। আর মানিলন্ডারিং আইনে করা মামলাটি শিডিউল অনুযায়ী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করবে। তাদের কাছে ওই মামলার কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। রিমান্ডে এনে তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

আসামিকে আটকের পর আদালত পাঠাতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে ৩টি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই মামলার তথ্য, উপাত্ত ও আইনের ধারাসহ সবকিছু বিবেচনা করে এজাহার লিখতে সময় লেগেছে।’ তাই আসামিকে আদালতে হাজির করতে দেরি হয়েছে বলেও তিনি উলে­খ করেন।

এদিকে, র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) মিজানুর রহমান  জানান, যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *