যুবলীগের মতো আ’লীগেও পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব : হাছান
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
যুবলীগের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার প্রতিফলন আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও থাকবে বলে মনে করছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে ওমানের রাষ্ট্রদূত তাঈদ সেলিম আব্দুলাহ আল আলাউইকে সৌজন্য সাক্ষাৎ দেওয়ার পর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ক্যাসিনোকাণ্ডে সমালোচিত যুবলীগের ভার নতুন নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া শনিবার সংগঠনের কংগ্রেসে। যার হাতে গড়ে উঠেছিল যুবলীগ, সেই শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে পান সভাপতির দায়িত্ব। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও এমন প্রতিফলন থাকবে কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি আমি বলতে পারব না, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এটা বলতে পারবেন। তবে নিশ্চয়ই এখানে যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়ার বাইরে তো আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে না বা থাকবে না।
যুবলীগের নতুন কমিটির বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত এটি একটি চমৎকার কমিটি হয়েছে। নানা কারণে যুবলীগকে নিয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, কিছু নেতৃত্বের কারণে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সন্তানের হাতে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত সুশিক্ষিত ও মার্জিত একজন মানুষ।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনিও অত্যন্ত ভদ্র ও ভালো। যুবলীগের নানা নেতাদের নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও তাকে নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনো প্রশ্ন সেই। তিনি ভালো, সৎ ও নিষ্ঠাবান একজন মানুষ।
স¤প্রতি প্রতিটি সম্মেলনের মাধ্যমে যাদের হাতে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে তারা সবাই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এটির মাধ্যমে রাজনীতিকে যারা কলুষিত করতে চান এবং রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের যে প্রক্রিয়া জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন, খালেদা জিয়া ও এরশাদ যেটির ষোলকলা পূর্ণ করেছিলেন, সেই চক্র থেকে বের করে এনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির শিক্ষিত মানুষের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি রাজনীতি ও দেশের জন্য মঙ্গল। অন্য দলগুলো এটা থেকে শিক্ষা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
বিএনপি নেতারা বলেছেন তারা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যেতে চাচ্ছেন, বিষয়টি সরকার কীভাবে দেখছে এবং কী প্রস্তুতি রয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদী হরতাল অবরোধ মানে জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি। জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি অনুসরণ করার কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাজনীতি তো জনগণকে জিম্মি করার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণের জন্য। প্রতিবাদের ভাষা দিনের পর দিন জনগণকে জিম্মি করা নয়। এটি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি করেছে। প্রতিবাদের ভাষা মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ নয়।
আগের ভুল পথ আবার অনুসরণের চেষ্টা করলে জনগণ সুযোগ দেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরও যদি তারা চেষ্টা করে এখন যে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তারা জনবিচ্ছিন্ন নির্জন দ্বীপের বাসিন্দা হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে রাজনীতির মাঠে।
ওমানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকের বিষয়ে তথ্যমস্ত্রী বলেন, ওমানে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি আছে, এর মধ্যে প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশি তার ভাষ্য অনুযায়ী। অত্যন্ত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাংলাদেশিরা সেখানে কাজ করছে। তিনি সেটার প্রশংসা করেছেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে তিনি (রাষ্ট্রদূত) সেই বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ওমানের বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আসে, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।