November 25, 2024
আন্তর্জাতিক

যুদ্ধ করতে তিন ছেলেকে ইউক্রেন পাঠাবেন চেচেন নেতা

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ তার তিন ছেলেকে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। তার তিন ছেলেই এখনও কিশোর। কিন্তু তবুও সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে তারা অংশগ্রহণ করবেন।

ইউক্রেনে যুদ্ধরত একটি সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাদিরভ। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন যে, পূর্ব ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর কমান্ডারের কাছ থেকে তার পদক কেড়ে নেওয়া উচিত এবং তাকে সম্মুখ যুদ্ধে পাঠানো উচিত। সে সময় তিনি কর্নেল-জেনারেল আলেকজান্ডার ল্যাপিনের সমালোচনা করেছিলেন। চেচেন নেতা এখনই দমে যাওয়ার পক্ষে নন।

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে কাদিরভ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই চেচেন নেতার তিন ছেলে- আখমত (১৬), এলি (১৫) এবং অ্যাডাম (১৪) অস্ত্র চালাচ্ছে। তিনি লিখেছেন, তারা শিগগির কন্টাক্ট লাইনের সবচেয়ে কঠিন ধাপে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই কিশোররা অল্প বয়স থেকেই যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এ বিষয়ে তামাশা করছেন না। তার মতে, তাদের এখন সত্যিকার যুদ্ধে নিজেদের প্রমাণ করার সময় এবং তিনি কেবল তাদের এই ইচ্ছাকে স্বাগত জানাতে পারেন।

ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই কিশোররা ছদ্মবেশী পোশাক এবং গাঢ় চশমা পরে আছেন। কোমরে বাঁধা বন্দুক থেকে তারা গুলি চালাচ্ছে। ভিডিও করার সময় তাদের মুখে হাসি ছিল।

সম্প্রতি রাশিয়ার দখলে থাকা পূর্বাঞ্চলীয় লিমান শহরে পৌঁছেছে ইউক্রেনের সেনারা। সেখানে কয়েক হাজার রুশ সেনা ঘিরে ফেলার বলে দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে। ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার পর পুতিন বাহিনীর ওপর হামলা জোরদার করেছে ভলোদিমির জেলেনস্কি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বাহিনী যদি লিমান শহর পুনর্দখল করতে সক্ষম হয় তাহলে এটি হবে রাশিয়ার জন্য বড় বিপত্তি। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে অন্তুর্ভুক্ত করেছে রাশিয়া। যদিও দেশটির এ ঘোষণাকে অস্বীকার করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, দুইজন হাস্যোজ্জ্বল ইউক্রেনীয় সেনা দোনেস্ক অঞ্চলের উত্তরে শহরের প্রবেশদ্বার লিমানের স্বাগত চিহ্নে হলুদ-নীল জাতীয় পতাকা বেঁধে দিচ্ছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *