যুদ্ধে ২৫ শতাংশ ফসলি জমি হারিয়েছে ইউক্রেন
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন চার ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ২৫ শতাংশ ফসলি জমি হারিয়েছে। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে কমেছে ফসলি জমির পরিমাণ। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জুন) ইউক্রেনের কৃষি উপমন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এটি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয় বলে দাবি করেন তিনি।
কৃষি উপমন্ত্রী তারাস ভিসোটস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আবাদযোগ্য জমির ২৫ শতাংশ ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও, দেশের মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য এ বছর ফসল রোপণের কাঠামো যথেষ্ট বড় করা হয়েছে। ফসলি জমি কমে যাওয়া ইউক্রেনের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা জানায়, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জমি ২০২২ সালের মৌসুমে অনাবাদি বা চাষের আওতার বাইরে থেকে যাবে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ গড়িয়েছে চতুর্থ মাসে। এখনো যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং এই যুদ্ধ অস্থিরতা তৈরি করেছে বিশ্ববাজারে। অধিকাংশ দেশে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। যুদ্ধ পরিস্থিতি ও নিষেধাজ্ঞার ডামাডোলে ইউক্রেন, রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে না পারায় খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে কয়েকটি দেশে।
বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও সেই ক্ষোভ সহিংস রুপ নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে।