যুদ্ধাপরাধে গাইবান্ধার ৫ জনের রায় যে কোনো দিন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে গাইবান্ধার পাঁচ জনের রায় যে কোনো দিন (সিএভি) ঘোষণা করা হবে। গতকাল রবিবার উভয়পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল শুনানি করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হাসান।
এ মামলায় মোট আসামি ছিলো ৬ জন। তাদের মধ্যে মো. রঞ্জু মিয়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। পলাতক আসামিরা হলেন, রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মন্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) ও মো. আজগর হোসেন খান (৬৬)। এদের মধ্যে আজগর হোসেন খান মারা যান। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু স¤প্রদায়কে ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ৪০ তম রায়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে এ পর্যন্ত ৭১ মামলায় তদন্ত সম্পন্ন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা। এরমধ্যে ৩৮ মামলায় বিচার শেষে রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। আরো দুটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়ার মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ’র বিরুদ্ধে যে কোন দিন রায় (সিএভি) ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ৮ জুলাই এ আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এটি ৩৯ তম মামলা যা রায়ের পর্যায়ে এসেছে।