যুদ্ধবিমান থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত
যুদ্ধবিমান এসইউ-৩০ এমকেআই থেকে জাহাজে আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিমান বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ধিত পরিসরের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ধিত আওতা যুদ্ধবিমান থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সুপারসনিক ক্রুজ এই ক্ষেপণাস্ত্র বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য সফলভাবে অর্জন করেছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর দূরপাল্লার স্থল অথবা সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে নিখুঁত নিশানায় হামলা চালানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এই পরীক্ষা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসইউ-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের উচ্চ-সক্ষমতা ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ধিত পরিসরের শক্তি হিসেবে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে একটি কৌশলগত নাগালে পৌঁছে দিয়েছে; যা ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারে সহায়ক হবে।
বৃহস্পতিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ভারতের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও, স্থানীয় যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা হ্যাল এবং বিএপিএল।
প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যতম শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র এ ব্রহ্মস। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে প্রথমবার ২০০৫ সালে তৈরি হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। সম্প্রতি ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভারত ব্রহ্মস কেনার জন্য চুক্তি করেছে।
ব্রহ্মসকে বিশ্বের অন্যতম সেরা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মনে করা হয়। যার নামকরণ করা হয়েছে ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোভা নদীর নামে। শব্দের তুলনায় প্রায় তিন গুণ দ্রুতগতিতে ছুটে যাওয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র শুধুমাত্র বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রই নয়, বরং এর উচ্চগতির কারণে রাডারও শনাক্ত করতে পারে না।
চলতি মাসেই পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ এর পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতা ৫ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। দেশটির ওডিশা প্রদেশের চাঁদিপুরের আবুল কালাম আইল্যান্ড থেকে সফলভাবে পরীক্ষা চালানো হয় অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের।