যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু এক লাখ হতে পারে: ট্রাম্প
নতুন করোনাভাইরাস মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখের মতো লোক মারা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার ফক্স নিউজের ভার্চুয়াল ‘টাউন হল’ টক শো-তে ট্রাম্প এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সমাবেশের বদলে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার নির্বাচনী প্রচারণা ফের শুরু করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সাড়া দিতে তার সরকার দেরি করেছে, এমন অভিযোগ থাকলেও এ অনুষ্ঠানে এসব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছের ট্রাম্প।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি।
এই রোগের একটি টিকা উৎপাদনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ ধরনের একটি টিকা প্রস্তুত হয়ে যাবে।
কিন্তু এ ধরনের একটি টিকা পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তা সত্ত্বেও ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, “আমার ধারণা বছরের শেষ দিকে আমরা একটি টিকা পেতে যাচ্ছি। চিকিৎসকরা বলতে পারেন, এটি আপনি বলতে পারেন না। আমি বলবো আমি মনে করি, অতো পরে না তার আগেই একটি টিকা পাবো।”
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আশাবাদের সঙ্গে যারা দ্বিমত পোষণ করতে পারেন তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি, ইংল্যান্ডের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস উয়িটি থাকতে পারেন।
এ ধরনের একটি টিকা উৎপাদনে ১৮ মাসের মতো লাগতে পারে বলে জানিয়েছিলেন ড. ফাউচি, আর গত মাসে অধ্যাপক উয়িটি বলেছিলেন, আগামী বছরের মধ্যে কার্যকরী একটি টিকা বা অন্য কোনো চিকিৎসা পাওয়ার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত কম’।
প্রাদুর্ভাবের শুরুতে তার প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে যে অভিযোগ আছে তা প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প বলেন, “আমরা সঠিক কাজই করেছি।”
এ পর্যায়েও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিস্তার বন্ধ করতে না পারার জন্য ফের চীনকে দায়ী করেন তিনি।
বলেন, “আমি মনে করি তারা ভয়ানক ভুল করেছে আর তারা তা স্বীকার করতে চায়নি। আমরা ভিতরে ঢুকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের সেখানে চায়নি।”
তবে ট্রাম্প কিছু দায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদেরও দিয়েছেন। তারা ২৩ জানুয়ারির আগে প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে উদ্বেগ জানায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
কিন্তু মার্কিন সম্প্রচার সংস্থা সিএনএন ও এবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে ৩ জানুয়ারিতেই করোনাভাইরাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।