যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের ডজন ৫০০!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ডজন ডিমের দাম এক পাউন্ড গরুর মাংস কিমার দামকেও ছাড়িয়ে গেছে। এক বছরে ডিমের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বর্তমানে এক ডজন ডিম কিনতে মার্কিনিদের খরচ করতে হচ্ছে ৪.৮২ ডলার (১ ডলার=১০৭ টাকার হিসেবে ৫১৭ টাকা প্রায়)।
ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে দশ কোটির বেশি মুরগি নিশ্চিহ্ন হয়েছে। এছাড়া উৎপাদন খরচ বাড়ায় জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ১২টি ডিমের কার্টন বিক্রি হয়েছে ৪.৮২ ডলারে। এক বছর আগে এর দাম ২ ডলারেরও কম ছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে গরুর কিমা মাংসের পাউন্ড বিক্রি হচ্ছে ৪.৬৪ ডলারে। এদিকে দেশটির মুরগির উৎপাদকরা অতিরিক্ত ৪০০ মিলিয়ন উদ্বৃত্ত ডিম বিক্রি করে দাম কমানোর চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল চিকেন কাউন্সিল ট্রেড গ্রুপ বৃহস্পতিবার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক পিটিশন জমা দিয়েছে। এতে কর্মকর্তাদের ২০০৯ সালে পাস করা একটি নিয়ম বাদ দিতে বলা হয়। ওই বিল মুরগির উৎপাদকদের তাদের অতিরিক্ত ডিম বিক্রি করা থেকে বিরত রাখে।
এফডিএ বলেছে যে, তারা চিকেন কাউন্সিলের পিটিশন পর্যালোচনা করবে এবং সরাসরি সেই গ্রুপে সাড়া দেবে। কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগই তাদের সেই নিয়মটি গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে, যা প্রথমে ডিম বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিল।
যখন একটি ব্রয়লার হ্যাচারি ডিম উৎপাদন করে, তখন সেগুলোকে ৬৫ ডিগ্রিতে রাখা হয়, যতক্ষণ না সেগুলো ফুটানোর জন্য ইনকিউবেটরে রাখার জন্য প্রস্তুত হয়। এফডিএ তার নিয়মে বলেছে যে, যেসব ডিম খাবারের জন্য ব্যবহার করা হবে তা ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ৪৫ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।
চিকেন কাউন্সিল বলেছে যে, তারা বিশ্বাস করে যে ডিমগুলো নিরাপদ হবে। কারণ খাদ্য উৎপাদনকারীরা ব্যবহার করার আগে তাদের পাস্তুরিত করা হবে।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে। জীবনযাপন ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। উন্নত দেশগুলোর নাগরিকরাও তাদের জীবনযাপন ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছেন।