যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়াল
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে কোভিড–১৯ মহামারীর সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ১০ দিনেই সেখানে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির শুক্রবার রাতে হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি নিউ ইয়র্ক শহরে। সেখানে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আর দেশজুড়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৮ লাখ ৮৬ হাজার।
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক সপ্তাহের লকডাউনের পর শুক্রবার জর্জিয়া, আলাস্কা ও ওকলাহোমার মতো কিছু জায়গায় দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হতে শুরু করার সময়ই মৃতের সংখ্যা বাড়ার এ দুঃসংবাদ এল।
হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স অবশ্য বলছে, মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে অন্য সব দেশকে ছাড়িয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুহার বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশের তুলনায় কম।
বিশ্বে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে। তবে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ ইতালি ও স্পেনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা অনেক বেশি, ৩৩ কোটি।
জনসংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মানুষের মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কম, বলেছেন হোয়াইট হাউসের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের বিশেষজ্ঞ সদস্য ড. ডেবোরাহ ব্রিক্স।
মাথাপিছু মৃত্যুর হিসাবের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং যুক্তরাজ্যের হার বেশি।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবমতে, এ দেশগুলোতে মাথাপিছু মৃত্যুর হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মারা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ দৈনিক মৃত্যু একলাফে বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হচ্ছে, ভাইরাসে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া ঘটনাগুলোকেও মৃতের সংখ্যায় যোগ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ভাইরাসে মারা গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে- এমন মৃত্যুও গণনা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ এন্ড কন্ট্রোল গত ১৪ এপ্রিলেই জানিয়েছিল, তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে নিশ্চিত এবং সন্দেহজনক ঘটনা দুইই গণনা করবে।