যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছাড়াল
প্রাদুর্ভাব শুরুর পর প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনায় আক্রান্ত কোটি ছাড়াল। গত এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ দিনই দেশটিতে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হন। এর মধ্যে গত শনিবার ছিল সর্বোচ্চ; ১ লাখ ৩১ হাজার ৪২০ জন। গোটা বিশ্বে আক্রান্ত ৫ কোটি ছাড়ানোর দিন যুক্তরাষ্ট্র পেরোলো দুঃখজনক এ মাইলফলক।
যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় দফায় ভাইরাসটির সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার মধ্য দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছাড়াল বলে রোববারের এক প্রতিবেদনে এ হিসাব জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত ১০ দিনে দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ২৯৩ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যে প্রথমবারের মতো ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্তের পর এখনই সবচেয়ে বেশি প্রকোপ চলছে। গত এক সপ্তাহে গড়ে দেশটিতে দৈনিক ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে; যা ইউরোপ ও এশিয়ার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ফ্রান্স ও ভারতের চেয়ে অনেক বেশি।
গত বছরের চীনের উহান শহর থেকে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দেশটির ২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। গড়ে দৈনিক বিশ্বে করোনায় প্রাণ হারানো প্রতি ১১ জনের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের। করোনায় মৃত্যুহারও দেশটিতে বেশি।
শনিবারসহ টানা পাঁচদিন যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। সবচেয়ে আগস্টের মাঝামাঝি দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা হাজারের বেশি ছিল। কিন্তু এখন তা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে আবার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আগামী চার কিংবা ছয় সপ্তাহ পর মৃত্যু আরও বাড়বে।
নভেম্বরের প্রথম সাত দিনে দেশটির দশটি অঙ্গরাজ্যে দৈনিক করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল রেকর্ড সর্বোচ্চ। এই রাজ্যগুলো আরকানসাস, ইডাহো, মিনিয়েসোটা, নেব্রাস্কা, নিউ মেক্সিকো, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, উইসকনসিন উতাহ, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং ভোয়েমিং। মঙ্গলবারের নির্বাচনে সংক্রমণ আরও বেড়েছে।
জন প্রতি আক্রান্তের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ভাইরাসটির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত রাজ্য হলো ইলিনয়। রাজ্যটি এখন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গত সাত দিনে এই রাজ্যটিতে ৬০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।