November 26, 2024
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট নয়, দাবি সু চি সমর্থকদের

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অং সান সু চির সমর্থকরা।

গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারের এক বিলিয়ন ডলারের তহবিল যেন দেশটির সেনাশাসকরা ব্যবহার করতে না পারেন, সে সংক্রান্ত একটি নিবার্হী আদেশও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন মিয়ানমারের আইন, বিচার ও নির্বাহী ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হলাইং, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল মিয়া তুন উ-সহ নতুন মন্ত্রিসভার সামরিক নেতারা। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা তিনটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে।

তবে, আটক নেত্রী অং সান সু চির সমর্থকরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘বর্তমান নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট নয়। ’

সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সমর্থকরা এক সপ্তাহ ধরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে তারা স্বাগত জানালেও সেটি যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এক সমর্থক বলেন, ‘মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে প্রতিদিন ও রাত আমরা কষ্ট করছি । তাই আশা করছি, এর বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’

গত নভেম্বর মাসে নিয়ানমারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।  এ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।  দেশটির শাসনভার নেন সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং। সেই সঙ্গে সু চি, মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত এবং এনএলডির জেষ্ঠ্য নেতাদের আটক করে গৃহবন্দি করে সামরিক জান্তা।  এর পরপরই মিয়ানমারে বছরব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *