যুক্তরাজ্যে কোয়ারেন্টাইন না মানলে ১০ বছরের কারাদণ্ড
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আইন আরও কঠোর করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে আসা কোনো যাত্রী কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে শাস্তি হিসেবে ১০ হাজার পাউন্ড জরিমানা ও ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হোটেল-কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক রেখে এই নতুন আইন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও সামজিক সেবা মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, কঠোর পরিশ্রম করে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তা রক্ষা করতেই এই নতুন নিয়ম।
যেখান থেকেই আসুক না কেন, সকল যাত্রীকে যুক্তরাজ্যে ঢুকে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং কোয়ারেন্টাইনের দ্বিতীয় ও অষ্টম দিনে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে।
নতুন এই আইনে যারা যুক্তরাজ্যে আসবে তাদের যাত্রা শুরুর অন্তত তিন দিনের মধ্যে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য সকল যাত্রীকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছে তাদের যোগাযোগের তথ্য ও ভ্রমণের ইতিহাস প্রদান করতে হবে।
লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলো, যেখানে ভাইরাস অনেক বেশি ছড়িয়েছে এবং ভাইরাসের নতুন ধরন পাওয়া গেছে, সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের একটি ‘কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ’ কিনতে হবে যার আওতায় করোনার পরীক্ষা ও হোটেলে থাকার ব্যবস্থা অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
ব্রিটিশ সরকার ইতোমধ্যে ১৬টি হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যারা ৪ হাজার ৬০০টি কক্ষ দিতে পারবে। লাল তালিকাভুক্ত নয় এমন দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীরা ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে নিজ দায়িত্বে আলাদা থাকতে পারবে।
হোটেলে থেকে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার নিয়ম কেউ ভঙ্গ করলে তাকে ৫ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড থেকে ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
এছাড়া লাল তালিকাভুক্ত দেশের কেউ যদি সেই দেশ থেকে আসার তথ্য গোপন করে তাহলে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।
যুক্তরাজ্য লাল তালিকার দেশগুলোর ফ্লাইট ইতোমধ্যেই বাতিল করেছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ব্রিটিশ ও আইরিশ জাতীয়তার এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীদের দেশে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়েছে।