যশোরে শিশুকে হত্যার দায়ের দুইজনের ফাঁসি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
যশোরে ১৭ বছর আগে এক শিশুকে হত্যার দায়ে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীসহ দুইজনকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার জেলার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ ফারুক হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের আন্দাউলাহ আজিজের ছেলে সবেদুল ও আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল হাকিম। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে সবেদুল জামিনে পলাতক রয়েছেন; রায় ঘোষণার সময় মজিদ কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসএম বদরুজ্জামান পলাশ জানান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ইমরানের মা কোহিনুর বেগমের সঙ্গে সবদুলের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর প্রথম পক্ষের ছেলে ইমরানকে মেনে নিতে পারেনি সবদুল। এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে সবেদুলকে তালাক দেন কোহিনূর।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল ১২ বছর বয়সী ইমরান খেলা করার সময় হাকিমের সহায়তায় ইমরানকে ডেকে নিয়ে যান হাকিম। ওইদিন সন্ধ্যার পরও ইমরান বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুজি হয়।
পরে হানিফকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং তার দেওয়া তথ্যে ভৈরব নদের পাড়ে একটি পানের বরজের পাশ থেকে ইমরানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ইমরানের নানা হায়াৎ আলী মলিক বাদী হয়ে সবদুল, আব্দুল হাকিম, ইদ্রিস আলী ও ইকবাল হোসেনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০২ সালে ৩০ মার্চ চারজনের নামে পুলিশ অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচার শুরু করে আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ইদ্রিস ও ইকবালকে খালাস দেন বিচারক।