যশোরে যুবলীগ নেতাকে ধরে নিয়ে গুলি করার অভিযোগ পরিবারের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে এক যুবলীগ নেতাকে ধরে নিয়ে গুলি করার অভিযোগ তুলেছে পরিবার; যার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। তবে পুলিশ পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ‘দুই দলের গোলাগুলিতে’ আহত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের ভাষ্য। গুলিবিদ্ধ মেহবুর রহমান ম্যানসেল যশোর শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। শহরের ষষ্টিতলাপাড়ার মোহাম্মদ আলমাসের ছেলে তিনি।
ম্যানসেলের স্ত্রী বৈশাখী রহমান তৃষা অভিযোগ করেন, সোমবার ভোরের দিকে পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসে। ম্যানসেল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাকে পুলিশ আটক করার পর আমরা গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাই। তবে পুলিশ তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, সোমবার ভোরের দিকে শহরের ষষ্টিতলাপাড়ায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ম্যানসেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে গোলাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি অপূর্ব হাসান। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শহরে সন্ত্রাসী হিসেবে কুখ্যাত ম্যানসেলের বিরুদ্ধে আগেই কোতোয়ালি থানায় একাধিক হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেছেন কোতোয়ালি থানার এসআই হাসানুর রহমান। আহত ম্যানসেলের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
যশোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুর রউফ বলেন, মেহবুরের বাম পায়ে গুলির ছররার ক্ষত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।