November 29, 2024
জাতীয়

যশোরে নিহত কিশোরদের পরিবারকে ৫০ লাখ করে ক্ষতিপূরণ নয় কেন

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নিহত তিন কিশোরের পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট সংঘর্ষে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তিন বন্দি নিহত ও আরও ১৪ জন আহত হন। নিহতরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু প্রামাণিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), একই জেলার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮)।

ওই সময় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি বন্দী কিশোররা তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে জানায়, ‘ঘটনার সূত্রপাত ৩ আগস্ট, ঈদের দুদিন পর। শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আনসার সদস্য নূর ইসলাম কয়েকজন কিশোরের চুল কেটে দিতে চান। কিন্তু কিশোররা চুল কাটতে রাজি না হওয়ায় তিনি কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন, ওই কিশোররা নেশা করে। এর প্রতিবাদে ওই দিন কয়েকজন কিশোর তাকে মারপিট করে।’

আহত কিশোরদের দাবি, ‘ওই ঘটনার সূত্র ধরে ১৩ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ১৮ জন বন্দীকে রুম থেকে বাইরে বের করে আনা হয়। এরপর বিকেল ৩টা পর্যন্ত পালাক্রমে তাদের লাঠিসোটা-রড ইত্যাদি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। পালাক্রমে এভাবে মারপিটের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। পরে কয়েকজন মারা গেলে সন্ধ্যার দিকে তাদের মরদেহ যশোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

সূত্র জানায়, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনসার সদস্য ও তাদের নির্দেশে কয়েকজন কিশোর ওই ১৮ জনকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। কয়েকজন অচেতন থাকায় তারা অজ্ঞান হয়ে গেছে মনে করলেও পরে তারা বুঝতে পারে মারা গেছে। এরপর সন্ধ্যায় এক এক করে তাদের মরদেহ হাসপাতালে এনে রাখা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ দীর্ঘসময় পর সন্ধ্যা ৭টায় রাব্বি, সুজন ও নাঈমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমিয় দাস বলেন, দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি মরদেহ আসে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে। সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে নাইম হাসান, সাড়ে ৭টায় পারভেজ হাসান এবং রাত ৮টায় আসে রাসেলের মরদেহ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *