যশোরের মাদ্রাসাছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় ১০ আসামীকে খালাস
খুলনা বিভাগীয় দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনারের রায়
দ: প্রতিবেদক
যশোরের চৌছাগায় জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদ্রাসা ছাত্র মো. মারুফ হোসেন (১৩) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১০ আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে খুলনার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল। গতকাল রবিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেছেন। নিহত মাদ্রাসা ছাত্র মারুফ যশোর জেলার চৌগাছা থানার স্বর্পরাজপুর গ্রামের মো. মহিদুল ইসলামের ছেলে।
খালাসপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন যশোর জেলার চৌগাছা থানার স্বর্পরাজপুর গ্রামের মৃত আজেহার আলি মন্ডলের ২ ছেলে মো. হযরত আলি মন্ডল (৫০) ও মো. সুলাইমান মন্ডল (৪৫), হযরত আলি মন্ডলের ২ ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন (৩০) ও মো. টুটুল মন্ডল (২৮), মো. গহরের ছেলে মো. আবুল বাশার (৩২), মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. বাবু (২২), মো. ইশারত মন্ডলের ছেলে মো. ইকরামুল হোসেন (৩০), মো. মিজানুর রহমানের ছেলে আযাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো (২৬), কালু বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার রঘুনাথপুর গ্রামের শমসের মন্ডলের ছেলে খলিল মন্ডল (৪০)। রায় ঘোষণাকালে ৭আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৩ আসামী পলাতক ছিলেন।
মামলার বাদী নিহত মারুফের মা আবেরুন্নেছা জানান, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আসামী আযাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে এবং অন্যান্য জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। এছাড়া লাশের ৬ টুকরো করার বিবরণও আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় ওই আসামী। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল কেরবেন বলেও তিনি সাংবাদিকদের কাছে জানান।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্বর্পরাজপুর যাওয়ার কথা বলে মহিদুল ইসলামের কিশোর ছেলে মো. মারুফ হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারাদিন খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। সন্ধ্যার পর লোক মুখে জানা যায় মির্জাপুর গ্রামের হাসেম আলির খেজুর বাগানে মাথাবিহীন হাত-পা কাটা মারুফের লাশ পড়ে আছে।
এ ঘটনায় নিহত মারুফের মা মোছা. আবেরুন্নেছা বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং- ১১। পরের বছরের ৮ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর সিআইডি এসআই মো.তহিদুল ইসলাম এজহারভুক্ত ৭ আসামীর সঙ্গে আরো ৩ জনকে সংযুক্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি এ্যাড. শেখ এনামুল হক ও এপিপি এ্যাড. শাকেরিন সুলতানা।