November 24, 2024
লাইফস্টাইললেটেস্ট

যদি সুস্থ-সুন্দর থাকতে চান

সকাল থেকে আমরা যে ভাবে চলব সেভাবেই কাটবে সারাটা দিন। কথায় এমনটি  বলে মানুষ।

আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু নির্দিষ্ট রুটিন থাকে। কেউ সকালে ঘুম থেকে উঠতে চান না। আবার কেউ দ্রুত ঘুম থেকে উঠে চলে যান মর্নিং ওয়াকেও।

সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে এবং সময়মতো কাজ না হলে কিন্তু বাকি কাজে দেরি হয়ে যায়। অলসতা কাটিতে সকালে উঠুন, কাজ থাকুক আর না থাকুক।  এতে ভালো থাকবেন, সুন্দর থাকবেন। সারাদিন ফ্রেশ লাগবে।

বর্তমান সময়ে ঘুম ভাঙলেই প্রথমে নজর যায় ফোনের দিকে। নতুন কোনও নোটিফিকেশন বা মেসেজের দিকেই চোখ প্রথম টানে। তারপর সোশ্যাল মিডিয়া তো আছেই। আর এতেই কিন্তু চাপ বাড়ে চোখের উপর। সারাদিন মাথা ব্যথার মত সমস্যাও কিন্তু থাকতে পারে। কর্মক্ষমতাও কমে যায়।

আর তাই ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস পানি খান। এরপর কিছুক্ষণ খোলা জানালার পাশে বসুন বা বারান্দায় বসুন। সকালে অন্তত ২ ঘণ্টা শুধুমাত্র নিজের জন্য রাখুন। এ সময়টা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একদমই দূরে থাকুন। শরীরচর্চা অবশ্যই করবেন। সকালের চা কিংবা কফি উপভোগ করুন। প্রয়োজনীয় বই কিংবা সংবাদপত্র পড়ুন। এ সময়টা সম্পূর্ণ ভাবেই নিজেকে দিন।

ব্রেকফাস্ট কিন্তু কোনও ভাবেই বাদ দেবেন না। অনেকেই ঘুম থেকে দেরি করে ওঠেন এবং সোজা চা বা কফি খেয়ে লাঞ্চ করেন। এ অভ্যাস আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু একদমই ভাল নয়। হজমের সমস্যা তৈরি হয়। শরীরচর্চা সেরে স্বাস্থ্যকর কোনও ব্রেকফাস্ট খান।

সকালে উঠে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করুন। আগের রাতেই সব ঠিক করে রাখুন। তাতে কাজ সময় মতো হবে এবং ঠিকমতো হবে। গোসল সারতে দেরি করবেন না। বরং দিনের শুরুতেই আগে গোসল করে নিন। এতে শরীর-মন তাজা থাকবে। কাজে মন বসবে। আর হরমোনও সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবে। হরমোন যদি ঠিকভাবে কাজ করে তাহলে আমাদের কর্মক্ষমতা এবং এনার্জিও কিন্তু বাড়বে।

কোনও নেগেটিভিটি নিয়ে ঘুম থেকে উঠবেন না। বরং পজিটিভ কিছু ভাবুন। নিজেই নিজেকে উৎসাহ দিন। কিছু ভাল জিনিসের জন্য কিন্তু নিজের কাছেই কৃতজ্ঞ থাকুন। এছাড়াও যারা আপনার চলার পথের সাথী তাঁদেরও কিন্তু ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *