ময়ূর নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
খুলনার ময়ূর নদীর তীরে থাকা সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিএস রেকর্ড ও আরএস রেকর্ড জরিপের পর অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। খুলনা সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল গাফফার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল।
২০১৬ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের ওই নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনা সিটি করপোরেশন তাদের ছয়টি স্থাপনা ভেঙে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সঙ্গে একটি ভিডিও দাখিল করেন। ওই ভিডিওতেই দেখা গেছে আরও বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে।
সেসব স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রোববার (০২ ফেব্রæয়ারি) এইচআরপিবির পক্ষ থেকে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানির পর আদালত দুই মাসের মধ্যে নদীর তীরে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নদীর তীর দখলকারীদের নাম, পরিচয়, ঠিকানাসহ তালিকা প্রস্তুত করে তা দাখিল করতেও নির্দেশ দেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৬ এপ্রিল দিন রেখেছেন আদালত।