ময়মনসিংহে ধর্ষণের আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ধর্ষণ মামলার এক আসামি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন বলছেন, সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার উথুরার হাতিবেড় গ্রামে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম (৪০) ভালুকা উপজেলার কৈয়াদী গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে। গত মাসে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি সে।
ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, ‘একদল ডাকাত’ হাতিবেড় গ্রামে রাস্তার পাশে জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সাইফুল গুলিবিদ্ধ হলে তাকে ফেলে তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন জানিয়ে ওসি বলেন, পুলিশের চার সদস্যও এ অভিযানে আহত হয়েছেন।
ভালুকা থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার একটি স্কুলের এক ছাত্রীকে গত ১৬ জুন স্কুলে যাওয়ার পথে আটকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুই যুবক। কাউকে ঘটনা জানালে এসিড মারার হুমকি দেওয়া হয় মেয়েটিকে। ওই স্কুলছাত্রী তখন ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। কিন্তু ২৬ জুন আবারো তাকে একই জায়গায় আটকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ওই দুই যুবক।
ওই ছাত্রী তখন দৌড়ে পালিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানালে তার বাবা বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। সাইফুলের সঙ্গে রমজান নামে আরেকজনকে সেখানে আসামি করা হয়। মামলা হওয়ার পর দুই আসামি আত্মগোপানে যায়।
এদিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধনের মত কর্মসূচি পালন করে আসছে। স্থানীয় সাংসদের স্ত্রী ব্যারিস্টার জেসমিন কাজিম পুতুল দুই ধর্ষককে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন।