ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট করে লিখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন স্পষ্ট করে লিখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি এএনএম বশির উলাহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে প্রতিবেদন তৈরিকারক চিকিৎসকের নাম ও পদবিও স্পষ্ট করে লিখতে বলা হয়েছে। এই আদেশ কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন ও স্বাস্থ্য সচিবকে বলা হয়েছে।
এছাড়া ২০০৩ সালে যশোরের ঝিকরগাছায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামি আবদুল কাদেরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় চিকিৎসকের দেওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট তথ্য স্পষ্ট না হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফাতেমা রশিদ। আসামিপক্ষে ছিলেন হাসান শহিদ কামরুজ্জামান।
আইনজীবীরা জানান, যশোরের ঝিকরগাছার বামনখালী গ্রামের রবিউল ইসলামের ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ২০০৩ সালের পহেলা জুলাই ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিহতের চাচাতো ভাই আবদুল কাদেরকে পুলিশ গ্রেফতারের পর সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর পুলিশ ওই ঘটনায় আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে একই বছরের ৩১ আগস্ট অভিযোগপত্র দেয়। এরপর যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলায় বিচার শেষে ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি একমাত্র আসামি আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর ওই আসামি ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ আপিল শুনানিতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অস্পষ্ট পান আদালত। লেখা পড়তে ও বুঝতে বিচারপতিদের অসুবিধা হয়। এ কারণেই আদালত স্পষ্ট ও সহজবোধ্য করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন লিখতে নির্দেশ দেন। যেন বাদী-বিবাদী, আইনজীবী ও বিচারকরা বুঝতে পারেন।