ম্যান ইউকে নিয়ে ছেলেখেলা করল টটেনহ্যাম
ঘড়িতে তখনও ম্যাচের বয়স ১ মিনিটও হয়নি, পেনাল্টি বাঁশি বাজালেন রেফারি, সহজ সুযোগ থেকে গোল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিলেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেস। কিন্তু শুরুর এই গোলের আনন্দ ম্যাচের বাকি সময়ে আর ধরে রাখতে পারনি ম্যান ইউ।
নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নেমেও টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ১-৬ গোলে হেরেছে রেড ডেভিলরা। ম্যাচের শুরুতে করা গোলের সুখস্মৃতি মুছে দিতে মাত্র ২ মিনিট সময় নিয়েছিল টটেনহ্যাম। এরপর গুনে গুনে আরও ৫টি গোল করেছে স্পার্সরা।
ম্যাচের একদম শুরুতেই ম্যান ইউ ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার ডেভিনসন সানচেজ। সেখান থেকে পাওয়া পেনাল্টিতে দলকে এগিয়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
তবে চার মিনিটের সময়ই ম্যাচে সমতা ফেরায় টটেনহ্যাম। ম্যান ইউ রক্ষণভাগে দুর্বল ডিফেন্ডিংয়ের জটলার মধ্যেই বল পেয়ে যান টটেনহ্যাম মিডফিল্ডার ট্যাঙ্গুই এনদম্বেলে। জোরালো শটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম গোলটি করেন এই ফরাসি তারকা।
এরপর প্রথমার্ধেই আরও তিন গোল হজম করে ম্যান ইউ। এন্দম্বেলের তিন মিনিট পর স্কোরশিটে নাম তোলেন সন হিউং মিন। হ্যারি কেইনের দ্রুত নেয়া ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়েছিলেন সন। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
ম্যাচের ত্রিশ মিনিটের সময় গোল করেন হ্যারি কেইন নিজেই। আবারও ম্যান ইউ ডিফেন্ডারদের ভুলে গোলের সুযোগটি পান টটেনহ্যাম অধিনায়ক। এর মিনিট দুয়েক আগে আবার এরিক লামেলার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির জেরে লাল কার্ড দেখেন ম্যাচে ম্যানইউর একমাত্র ফরোয়ার্ড মার্শিয়াল
প্রথমার্ধের শেষ গোলটি করেন সন, ৩৭ মিনিটের সময় আরও একবার ডেভিড ডি গিয়াকে ফাঁকি দেন তিনি। যার ফলে ৪-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ষষ্ঠ মিনিটের মাথায় পঞ্চম গোল করেন সার্জি অরিয়ার।
একদম শুরুতে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যান ইউ, তাই হয়তো পেনাল্টি গোলেই ম্যাচ শেষ হওয়াটাই ছিল নিয়তি। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন হ্যারি কেইন। বেন ডেভিসকে পল পগবা ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল সফরকারীরা।
৬-১ গোলের বিশাল এ জয়ের পর ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে টটেনহ্যাম। অন্যদিকে ৩ ম্যাচে মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৬ নম্বরে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শীর্ষে থাকা এভারটনের সংগ্রহ ৪ ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট।