মোস্তাফিজ-ডেলপোর্ট নৈপুণ্যে সিলেটকে হারালো রংপুর
ক্রীড়া ডেস্ক
বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফিজের বোলিং তোপের সামনে নাকাল সিলেট থান্ডারকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৩৩ রান। মামুলি রান তাড়া করে জয় তুলে নিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি রংপুর রাইডার্সকে।
ক্যামেরুন ডেলপোর্টের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পেয়েছে রংপুর। ১৩৪ রানের টার্গেটে ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে শেন ওয়াটসনের দল।
গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় পয়েন্ট তালিকার দুই নিচের সারির দল সিলেট থান্ডার ও রংপুর রেঞ্জার্স। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে সিলেট। স্কোরবোর্ড খালি রেখে ডাক নিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। দ্রæত ফেরেন আরেক ওপেনার জনসন চার্লসও (৯)।
বিপদে পড়া সিলেটকে উদ্ধার করেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার ৪৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ৬২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ১৩৩ রান করে সিলেট। এক প্রান্ত আগলে রাখলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি সতীর্থরা। তার মধ্যে চোটে পড়েন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় মোহাম্মদ নবীর বলে রান নিতে গিয়ে ড্রাইভ দেন সিলেট অধিনায়ক। রান আউট থেকে বাঁচতে তো পারেননি, উল্টো কাঁধে চোট পেয়েছেন তিনি। আপাতত মোসাদ্দেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জবাব দিতে নেমে বিপদে পড়ে রংপুরও। দলীয় ৫ রানে এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক ওয়াটসন (১)। অজি অলরাউন্ডারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নাঈম ও ডালপোর্ট। দুজনে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। নাঈম ধীর গতির ব্যাটিং করলেও ঝড় তুলেন ডালপোর্ট। ২৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছ্ক্কায় ৬৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা আউট হোন নাভিন-উল-হকের বলে। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় রংপুর।
লুইস গ্রেগরি (৪) নাভিনের দ্বিতীয় শিকার হলেও নবীকে (১৮) নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন নাঈম। ৫০ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠেছে মোস্তাফিজের হাতে।