মোস্তাফিজের কাছেই হেরে গেল চিটাগং
ক্রীড়া ডেস্ক
মোস্তাফিজুর রহমানের কাছেই হেরে গেল চিটাগং ভাইকিংস। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ১৯৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটে ১৩৬ রান করা চিটাগং জয়ের পথেই ছিল। কিন্তু শেষ দিকে মোস্তাফিজের আগুনঝরা বোলিংয়ে জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে যায় মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চিটাগং ভাইকিংসের।
জয়ের জন্য ইনিংসের শেষ দিকে চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৪৪ রান। ১৬তম ওভারে ১২ রান খরচ করে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উইকেট তুলে নেন মিরাজ। ঠিক পরের ওভারে রায়ান টেন ডেসকাটকে এক ছয় এবং দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৭ রান আদায় করে জয়ের স্বপ্ন দেখান সিকান্দার রাজা।
জয়ের জন্য চিটাগংয়ের প্রয়োজন শেষ ১৮ বলে ২৭ রান। ১৮তম ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বি ৮ রান খরচ করে নজিবুলাহ জাদরানের উইকেট তুলে নেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। ওভারের প্রথম বলে ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজাকে আউট করেন মোস্তাফিজ। পরের তিন বলে চার রান আদায় করে নেয় চিটাগং। ওভারের পঞ্চম বলে রবিউল হককে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেনি চিটাগং। মোস্তাফিজ নৈপুন্যে ৭ রানের জয় পায় রাজশাহী কিংস।
ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালান মোহাম্মদ শেহজাদ। চিটাগং ভাইকিংসের এই আফগান ওপেনার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন। দলীয় ৩১ রানে ৮ বলে ৭ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন অন্য ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট।
ডেল পোর্টের বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন শেহজাদ। প্রথম ৯ বলে তিন ছক্কা ও এক চারের সাহায্যে ২৪ রান করা এই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে পাঁচটি ছয় এবং তিন চারের সাহায্যে ৪৯ রান করেন শেহজাদ।
তার বিদায়ের পর চলতি বিপিএলে দুর্দান্ত খেলে যাওয়া ইয়াসির আলী দলের হাল ধরেন। চিটাগং ভাইকিংসের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এদিনও রানের বন্যা বইয়ে দেন। ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন ইয়াসির। চলতি বিপিএলে এটা তার তৃতীয় ফিফটি। দেশিয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ৭ ম্যাচে ২৫৩ রান নিয়ে টপ থ্রিতে আছেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। শনিবার আরাফাত সানির স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ৩৮ বলে সাত চার ও দুই ছক্কায় ৫৮ রান করেন ইয়াসির।
এর আগে জনসন চার্লসের ফিফটি, রায়ান টেন ডেসকাট ও ক্রিশ্চিয়ান জনকারের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী কিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন চার্লস। ১৭ বলে ৩৭ করেন জনকার। ১২ বলে ২৭ রান করেন রায়ান টেন।