মোশতাক-জিয়াই চার নেতাকে হত্যা করেছিলো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করে খুনিরা থেমে যায়নি, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার নেতাকে হত্যা করেছিলো। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকেই পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছিলো। খুনি মোশতাক-জিয়াই তাদের হত্যা করে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘জাতীয় জেল হত্যা’ দিবস উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর একই বছর চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার হচ্ছে সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা। সেখানে ঢুকে খুনিরা চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাস পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এই হত্যার সাথে যে জিয়া জড়িত তা কর্নেল রশিদ, ফারুক বিবিসিকে যে বক্তব্য দিয়েছে সেখানে তারা বলেছিলো জিয়ার কাছে তারা গিয়েছিলো তাদের জিয়া বলেছিলো আমরা তো সিনিয়র নেতা আমরা কিছু করতে পরাবো না তোমরা করো।
তিনি বলেন, জিয়া একাধারে সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান। সব ধরনের নিয়ম ভেঙেছেন তিনি। জাতির পিতাকে হত্যাকারীদের যাতে বিচার না হয় ইন্ডেমনিটি জারি করার পর তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি প্রদেশ বানানো হয়েছিলো। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ এবং ৩৮ এর আংশিক যেখানে রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি ও ভোটাধিকার ছিলো না। সেগুলো উঠিয়ে দিয়ে তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তখন একটি ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৯ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান উপহার দেওয়ার পাশাপাশি সব প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে তুলেছিলেন। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের যে বিষয়গুলো প্রয়োজন সবগুলোই তিনি করে দিয়েছিলেন। এতো অল্প সময়ে মধ্যে এতো কাজ করা, একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে পরিণত করে স্বল্পোন্নত দেশে রুপান্তরিত করেছিলেন।