মোরেলগঞ্জে ঘের নিয়ে বিরোধ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে একটি মৎস্য ঘেরনিয়ে বিরোধের জের হিসেবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন ওই ঘেরের মালিক মো. আছাদুর রহমান হাওলাদার।
অভিযোগে জানা গেছে, উজেলার জিউধরা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে উত্তর ফুলহাতা গ্রামের এমএ আব্দুল জলিল হাওলাদার, নওসাদ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, সেলিম হাওলাদার, ফেরদৌস হাওলাদার এদের কাছ থেকে ২৭ বিঘা জমি এবং স্থানীয় এবং নিজেদের মিলে ১০ বিঘা জমিতে বর্তমান এক বছরের জন্য লিজ নিয়ে মৎস্য ঘের শুরু করেন। ঘেরে মাছ ছাড়ার পড়ে ওই ঘেরটি আবুল কালাম খোকনও রুম্মান শেখ দখলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে সড়যন্ত্র করতে থাকেন। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫ জনের ৮ বিঘা জমি আছাদ হাওলাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হন। জমির মলিকেেদরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে ৮ বিঘা জমির চুক্তি বাতিল করে তাদের নামে চুক্তিপত্র তৈরী করে নেন। এ থেকে শুরুহয় বিরোধের। আর এ বিরোধের জের ধরে ঘেরের ঘরে আগুন , মাছ লুট হওয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মো. আছাদুর রহমান বাগেরহাট মেজিষ্ট্রেট আদালতে ৩ টি মামলা দায়ের করেন।
প্রতিপক্ষ যেকোন সময় ঘের দখলে করতেপারে এমন আশঙ্কায় আছাদুর রহমান ও তার ভাইদের পরিবার পরিজন নিয়ে ঘেরে ২ টি ঘর তুলে বসবাস করতে শুরু করেন। প্রতিপক্ষ ঘেরে উঠতে নাপেরে গত ৩ জুলাই রুম্মান শেখে বাদী হয়ে থানায় ঘেরলুট ও মাছ চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি অফিসার এস আই মো. আব্দুল কাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে ওই ঘেরের বাসা থেকে ৫ নারী সহ ৭ জনকে আটক করেন। আটককৃতরা হলরা হলেন আছাদুর রহমান হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গির হাওলাদার, ফেরদৌসি বেগম, শিরিণ আক্তার, রুমা আক্তার, লাইলি বেগম, তাসলিমা বেগম।
আছাদুর রহমান বলেন পুলিশ ঘেরে পৌছানোর পূর্বে রুম্মান ও আবুল কালাম খোকনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল ঘেরের বাসায় অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আছাদুর রহমানের মাথা ফেটে যাওয়া সহ বিভিন্ন স্থানে ফুলা যখম হয় এ ছাড়াও তার ছেলে সজিব হাওলাদারকেও এলোপাতারি মারপিট করে তাকে আহত করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি অফিসার এস আই মো. আব্দুল কাদের বলেন, আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ৬ জন এজাহার নামিয় আসামি। আসামিদেরকে বাগেরহাট কোর্টে প্রেরণ করা হবে।