November 25, 2024
আঞ্চলিক

মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন, দাম পেয়ে খুশি কৃষক

এস.এম.  সাইফুল ইসলাম কবির,মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এ বছর কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। বাগেরহাটে অর্থনৈতিক উন্নয়নে চিংড়ির পাশাপাশি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এই কলা। বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী, রামচন্দ্রপুর, বনগ্রাম ও হোগলাপাশা ইউনিয়নে কলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে একবার চারা রোপণ করে ২৪ মাসে তিনবার ফলন পাওয়া যায়। খরচ কম লাভ বেশি ।

জানা গেছে, কলা চাষের ওপর নির্ভর করেই ভাগ্য বদলে সুদিন এনেছেন অনেকে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কলা চাষের উপযুক্ত হওয়ায় দিনদিন মোরেলগঞ্জ পজেলায় কলার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এই কলা চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

ট্রাকযোগে কলা নিতে আসা রাজধানীর কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার পারভেজ জানান, মোরেলগঞ্জের কলা খেতে সুস্বাদু হওয়ায় ঢাকায় এর বেশ চাহিদা রয়েছে।

তিনি জানান, কাওরান বাজার মোকামে অনেক ফরিয়া এসে মোরেলগঞ্জের কলার খোঁজ করেন। মোরেলগঞ্জের কলা এখন ব্রান্ড। সপ্তাহে তিনি ৩/৪ ট্রাক কলা ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন।

কলা চাষি হামিদুল কাজী জানান, কলা চাষে তেমন কোনো রোগবালাই নেই, তবে ঝড়ে কলাগাছ ভেঙে ক্ষতি হয়।

বনগ্রাম ইউনিয়নের চাষি আতাউর রহমান জানান, প্রথমদিকে গ্রামের মাঠে একবিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলেন। ভালো লাভ হওয়ায় পরে আবারও দুই বিঘা জমিতে চাষ শুরু করি। এরপর থেকে নিয়মিত কলার আবাদ করছি।
বিজ্ঞাপন

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, গত মৌসুমে জেলায় কলা চাষ হয়েছে ১৭০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যেই এই হিসাব ছাড়িয়ে গেছে। আগামী মৌসুমে এ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগের ধারণা।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল-মারুফ (ভারপ্রাপ্ত) জানান, লাভজনক হওয়ায় মোরেলগঞ্জের চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকছেন। এখানে চাষ হওয়া কলার মধ্যে রয়েছে অনুপম, সাগর, সবরি, আনাজি, চিনিচাম্পা প্রভৃতি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি কৃষিবিভাগ রান্না করে খাওয়ার জন্য উন্নত জাতের কাঁচকলা চারা সরবরাহ ও চাষ করার জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে। এছাড়াও কলা চাষে সবধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি একই জমিতে দুই অথবা তিন বছরের বেশি সময়ে কলার চাষ না করতে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে জমির উর্বরতা শক্তি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। দুই বছর কলার চাষ ও পরের বছরে আবার অন্য যেকোনো সবজি আবাদের পর আবারও কলার চাষ করলে জমির ক্ষতি হবে না।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *