November 25, 2024
আঞ্চলিক

মোংলায় ফুটপাতে নোংরা পরিবেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খাবার হোটেল

মোংলা প্রতিনিধি

নোংরা পরিবেশে মোংলার শিল্পাঞ্চলে রাস্তার ফুটপাতে তাবু টানিয়ে বিক্রি হচ্ছে খাবার। কম মূল্যে ওইসব পঁচা-বাসী খাবার খেয়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। দীর্ঘদিন ভাসমান ওইসব হোটেলগুলো নিম্নমানের খাবার বিক্রি করে থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ভাসমান হোটেল মালিকরা বলছেন, মোংলা বন্দরের কতিপয় নিরাপত্তা কর্মীরা মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন তাদের কাছ থেকে।

মোংলা-খুলনা মহাসড়কের রাস্তার পাশ্বে বসুন্ধরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর সামনে রাস্তার অপর প্রান্তে তাবু টানিয়ে বানানো হয়েছে অন্তত বারটি খাবার হোটেল। মিল কারখানা আর রাস্তায় চলাচল করা গাড়ীর ধুলোয় প্রায় অন্ধকার হয়ে ওই এলাকা। সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ওই নোংরা পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে ভাতসহ নানা খাবার। শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা কমমুল্য পেয়ে প্রতিনিয়ত খাচ্ছেন ওইসব খাবার। কেউ কেউ পেটের পিড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন আর খাচ্ছেননা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের গড়ে ওঠা হোটেল গুলোর খাবার। তবে অর্থিক অনটেনে এখনো অনেক খাচ্ছেন ওইসব পচাবাসী খাবার। মেঘনা সিমেন্ট মিলস্ এর শ্রমিক আবুল হাসান বলেন,কম মুল্যে তারা ওইসব খাবার খান। তবে মাঝে মাঝে আমাশা আর ডায়রিয়া রোগে ভুগতে হয় তাকে। এ জন্য তিনি প্রায় সময় এমোডিস ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন।

হোটেল মালিক আবজাল হোসেন জানান, শ্রমিক এলাকা আর কম মুল্য হওয়ার কারনে তাদের থাবার ভালো বিক্রি হয়। নোংরা পরিবেশে আর পচাবাসী খাবার কেন বিক্রি করেন এম প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নাই। মানুষ তো একদিন মরতে হবে। অন্য দিকে আরেক হোটেল মালিক সেলিম বলেন, আমরা বন্দরের নিরাপত্তা কর্মি কে মাসিক টাকা দিয়ে থাকি আমাদের কিসের পারমিশন লাগবে। তবে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার মলয় বিশ্বাস বলেন, দির্ঘ দিন রাস্তার পাশ্বে ওই পচা বাসী আর ধুলো বালু মিশ্রিত খাবার খেলে মানুষের ডায়রিয়া, আমাশয়, বমি হওয়া,গ্যাসের সমস্যা থেকে পাকস্থলীতে ইনফেকশন হতে পারে। একই সাথে মশামাছি বসার কারনে দেখা দিতে পারে ডায়রীয়া ও টায়ফয়েড। এ জন্য সবার উচিত ধুলো বালু মিশ্রিত নোংরা পরিবেশে খাবার ত্যাগ করা।

মোংলা বন্দরের সম্পত্তি শাখায় কর্মকর্তা ওইসব অবৈধ স্থাপনা কিভাবে তৈরী করা হয়েছে। কারা  সেখান থেকে টাকা আদায় করে এমন প্রশ্নের জবাবে বন্দরের সিনিয়র ডি এম আবুল কালাম আজাদ জানান, হঠাৎ গড়ে ওঠা ওইসব হোটেল গুলোর জায়গা বন্দরের সম্পত্তি। তবে কিভাবে দখল হয়েছে বা কারা করেছে ওইসব বিষয়ে তিনি কিছু জানেনা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরের এক নিরাপত্তা কর্মি জানান, সম্পত্তি শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার নির্দেশে ওইসব হোটেল তৈরী হয়েছে। তবে এ সবের তদারকির দায়িত্বে থাকা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর জেলা সহকারী পরিচালক ইমরান আহম্মেদ বলেন, তারা এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। দ্রæত সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হবে ওইসব হোটেল গুলোর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *