মোংলায় প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে দিশেহারা ব্যবসায়ী পরিবার
মোংলা (বাগোহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় সম্পত্তি ক্রয়ের বায়না চুক্তি করে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন একটি ব্যবসায়ী পরিবার। বায়না শর্তের ৭০ লাখ টাকার মধ্যে ৩৯ লাখ টাকা গ্রহণ করেও চুক্তি গ্রহীতাকে নির্ধারিত সময় জমির রেজিষ্ট্রি না দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এমনকি বায়না গ্রহীতার কাছ থেকে নেয়া ৩৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে প্রতারক চক্রটি একের পর এক নানা চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন সহ প্রতারক চক্রের ষড়যন্তের ফাঁদে আটকে ব্যবসায়ীক পরিবারটি চরম হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এই প্রতারক চক্রের হোতা মোংলার এক সময়ের আলোচিত কথিত ডাঃ ইউনুছ আলী জমির বায়না চুক্তির গ্রহীতাকে জীবননাশের হুমকি ধামকী দিয়ে চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোংলা শহরতলীর শেলাবুনিয়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শেখ হাসান আলী তার প্রতিবেশী সরদার মোহাম্মদ আলী ওরফে ডাঃ ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী সবুরা বেগমের কাছ থেকে স্থাপনা সহ ৫ শতক সম্পত্তি ক্রয়ের চুক্তিপত্র সম্পন্ন হয়। গত ১২ মে লিখিত এ চুক্তিপত্রের পর সম্পত্তির বাজার মূল্যের ৭০ লাখ টাকার মধ্যে বিভিন্ন সময় ৩৯ লাখ গ্রহণ করে ইউনুস আলী দম্পত্তি। এক পর্যায় বায়না গ্রহীতা কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করার তাগিদ দিলে বায়না দাতা নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকে। চুক্তিপত্রের শর্ত অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর গ্রহীতা মোঃ হাসান আলীর অনুকুলে সম্পত্তি কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি কথা থাকলেও ইউনুস আলী দম্পত্তি বায়না গ্রহীতাকে সম্পত্তি কবলা দলিল রেজিষ্টি না দিয়ে অর্থ আত্মসাতের চক্রান্তে লিপ্ত হয়। এ ছাড়া বায়না গ্রহীতাকে নানা ভাবে হুমকি-ধামকীসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় চুক্তিনামার সম্পত্তির কবলা দলিল না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী পরিবারটি।
এক সময়ের মোংলা শহরের বহুল আলোচিত কথিত ডাঃ ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে প্রতারনাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও একাধিক অভিযোগ থাকার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। নিরুপায় ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীক পরিবারটি ইতিমধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সহ স্থানীয় প্রশাসানের শরনাপন্ন হয়েছেন।