মোংলায় নৌযানডুবি: ৩ লাশ উদ্ধার, নৌযান দুটি শনাক্ত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মোংলা বন্দরে পশুর নদীতে ঝড়ে লঞ্চ ও কার্গো ডুবে নিখোঁজের দুদিন পর তিন জনের লাশ পাওয়া গেছে। নৌযান দুটির অবস্থান শনাক্ত হলেও উদ্ধার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রেন অপারেটর শাহ আলম (৫৫) এবং কার্গো শ্রমিক হেমায়েত শেখ ওরফে জুয়েল (৩২) ও আব্দুল লতিফের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনেরই লাশ পাওয়া গেল।
নিহত শাহ আলম বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার জয়বাংলা সড়কের শেখ মোসলেম উদ্দিনের ছেলে, হেমায়েত খুলনার লবণচরার সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং লতিফ বাগেরহাটের কাশিমপুর গ্রামের আহাম্মদ আলী শেখের ছেলে।
গত মঙ্গলবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে পশুর নদের হারবাড়িয়া এলাকায় সারবাহী কার্গো ‘এমভি হারদা’ এবং লঞ্চ ‘এল এম আখতার’ ডুবে যায়। এ সময় একজন ক্রেন অপারেটর ও দুজন কার্গো শ্রমিক নিখোঁজ হন। বুধবার মোংলা বন্দরের পাঁচটি উদ্ধারযান এবং বেসরকারি একটি উদ্ধারকারী দল নৌযান দুটি এবং নিখোঁজ লোকদের সন্ধান শুরু করে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন আমিনুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া ‘এল এম আখতার’ লঞ্চের ভেতর থেকে ক্রেন অপারেটর শাহ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। দুপুরে পশুর নদীতে ভাসমান অবস্থায় এমভি হারদার শ্রমিক আব্দুল লতিফের লাশ পাওয়া যায়। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে লতিফের লাশ পাওয়া যায়।
পশুর নদীতে নৌযান দুটি ডুবে যাওয়ার স্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে এবং নৌযান ডুবে থাকার কারণে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন ও নির্গমনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বন্দরের হারবাড়িয়া চ্যানেল এখন ঝুঁকিমুক্ত বলে ক্যাপ্টেন আমিনুর জানান।
এমভি হারদা থেকে টিএপি সার খালাস কাজে নিয়োগ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা ট্রেডার্সকে তাদের ডুবে যাওয়া নৌযান দুটি দ্রুত উদ্ধার করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বন্দরের এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সরকার মাসুদ বলেন, নৌযান দুটি শনাক্ত করা হলেও উদ্ধার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। এজন্য খুলনা থেকে উদ্ধারকারী যান আনতে হবে।