মে মাসের আগেই ভারতে করোনায় আক্রান্ত হন ৬৪ লাখের বেশি: জরিপ
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ইতোমধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ হয়ে উঠেছে তারা। ভারতে প্রায় প্রতিদিনই চলছে নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। শুক্রবারও সর্বোচ্চ ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ পাওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যেই জানা গেল, গত মে মাসের আগেই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৪ লাখের বেশি মানুষ।
গত ৩০ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ভারতে। আইএমসিআরের সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, প্রথম রোগী শনাক্তের মাত্র চার মাসের মধ্যেই দেশটির ৬৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৮ জনের শরীরে প্রবেশ করেছিল প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিকেল রিসার্চে প্রকাশিত ওই জরিপ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মে মাসের শুরুর দিকেই ভারতের ০.৭৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গত ১১ মে থেকে ৪ জুন অব্দি পরিচালিত জরিপে অন্তত ২৮ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা পজিটিভ দেখা গেছে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের (৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ)। এর পরেই রয়েছে ৪৬ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা ( ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ)। সবচেয়ে কম আক্রান্ত ছিলেন ষাটোর্ধ্ব বয়সীরা (১৭ দশমিক ২ শতাংশ)।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ এলাকাগুলোতে কম সংক্রমণে বোঝা যাচ্ছে, ভারত মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং ভারতীয় জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই এখনও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, ভারতে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৬১৪ জন, মারা গেছেন ৭৬ হাজার ২৭১ জন। বিশ্বের মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই এরচেয়ে বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।