December 22, 2024
জাতীয়

মেহেরপুরে গুলিবিদ্ধ লাশ, পরিবার বলছে ‘পুলিশ ধরে নিয়েছিল’

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মেহেরপুরে এক ডজন মাদক মামলার এক আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ; ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে অস্ত্র ও মাদক। তবে নিহত হামিদুল ইসলামের পরিবারের অভিযোগ, তিনদিন আগে পুলিশ পরিচয়েই তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামে সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খানের ভাষ্য। ৩০ বছর বয়সী হামিদুল সদরের বুড়িপোতা গ্রামের আরজ আলীর ছেলে। পুলিশের দাবি, তার নামে সদর থানায় এক ডজন মাদক মামলা রয়েছে।

ওসি বলেন, মাদক ভাগাভাগি নিয়ে ‘মাদক বিক্রেতাদের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে’ হামিদুলের মৃত্যু হয়। ঘটনার বর্ণনায় এ পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, গোভিপুর গ্রামে দুইদল মাদক বিক্রেতাদের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে মাথাভাঙ্গা মোড় থেকে হামিদুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ‘সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত’ একটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি ও ১২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের কথাও জানান ওসি। এদিকে নিহতের বাবা আরজ আলী দাবি করছেন, হামিদুল ভারত থেকে ‘অল্প পরিমাণ’ মাদক এনে বিক্রি করতো এটা পুলিশও জানতো। শনিবার সদর থানা পুলিশ হামিদুলকে গ্রাম থেকে আটক করে নিয়ে যায়।

কিন্তু পরে থানায় নিয়ে খোঁজ করলে পুলিশ আটকের কথা অস্বীকার করে। এরপর থেকে হামিদুলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার গভীর রাতে গোলাগুলির শব্দে গ্রামবাসীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে তারা বাইরে বের হয়ে মাথাভাঙ্গা মোড়ের লিচুতলার দিকে হামিদুলের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি শাহ দারা বলেন, হামিদুলকে আটকের বিষয়টি তার জানা নেই।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *