মেহেদীকে হত্যার পর আক্তারের আত্মহত্যা, সন্দেহ পুলিশের
ফলোআপ: জোড়া লাশ উদ্ধার
দ: প্রতিবেদক
খুলনায় জোড়া মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে নিহতদের মধ্যে মেহেদী হাসান (১৭) কে হত্যার পর লেদ মেশিনের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন (৪৫) আত্মহত্যা করতে পারেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। দু’জনের ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মমতাজুল হক জানিয়েছেন।
তিনি জানান, হত্যার রহস্য এখনও আমাদের স্পষ্ট নয়। লেদ মেশিনের ব্যবসায়ী আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে কিশোর মেহেদী। তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারেন। দু’জনের কোন সমস্যার কারণে মেহেদীকে হত্যা করে নিজেকে অপরাধী ভেবে আক্তার আত্মহত্যা করতে পারেন বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। যে বাসায় মরদেহ দু’টি পাওয়া গেছে সেখানে বাইরের কোন লোক প্রবেশ করেনি, এমনটাই আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। ময়নাতদন্তপ্রতিবেদন পেলেই জোড়া লাশ উদ্ধারের ঘটনার জট খুলতে পারে বলে তিনি জানান।
ওসি মমতাজুল হক আরও জানান, নিহত আক্তারের মুখে দাড়ি, বাসায় কোরআন শরীফ দেখে মনে হচ্ছে তিনি ধর্মভীরু। আর তিনি বিয়েও করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেটিকে হত্যার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে নিজেকে দোষী মনে করে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহত মেহেদীর চাচা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, যেটি মামলা হিসেবে রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকার লেদ মেশিনের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন (৪৫) ও শিক্ষানবীশ কর্মচারী মেহেদীর (১৭) মরদেহ একই ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত আক্তার ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জের সামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে আর মেহেদী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের হাসানবাগের বাসিন্দা কবির হোসেনের ছেলে।
গতকাল শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত পুলিশ এ জোড়া হত্যার কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। ফলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটকও সম্ভব হয়নি। হয়নি কোন মামলাও। তবে রহস্য উদঘাটনে গভীর অনুসন্ধান করছে পুলিশ। এদিকে একই ঘর থেকে ফাঁস দেওয়া দু’টি মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন না হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম হচ্ছে।