মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও দু-তিন দিন
রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর দিয়ে বইতে থাকা মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও দু-তিন থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যশোরে ৭ দশমিক ৪ ও তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, পৌষের শুরুতেই উত্তরে শীত জেঁকে বসেছে। সোমবার বিস্তীর্ণ এলাকায় শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যাচ্ছে। আরও দু-তিন দিন তা অব্যাহত থাকবে।
ঈশ্বরদী, রাজশাহী, বদলগাছী, রাজারহাট ও বরিশালেও তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে। বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিস্তার পেতে পারে।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়, ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি বা দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে, রাতের তাপমাত্রা কমবে। সারা দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
“সেই সঙ্গে ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।”
এ বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে হিম হিম ভাব বাড়ছিল। তবে ডিসেম্বরে সাগরে ঘূর্ণিঝড় আর বৃষ্টিতে সামান্য বিলম্বিত হয়েছে শীত। এমনিতে বাংলাদেশে জানুয়ারি মাসেই শীতের প্রকোপ বেশি থাকে।
বজলুর রশীদ বলেন, “টানা কয়েকদিন মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এসময় হালকা বৃষ্টি হলেও ২৪/২৫ ডিসেম্বরের দিকে ফের তাপমাত্রা বাড়বে। এরপর জানুয়ারির প্রথমার্ধে দ্বিতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস রয়েছে।”