মুজিব বর্ষ উপলক্ষে রূপসা সেতুতে বর্ণিল আলোকসজ্জা
দ. প্রতিবেদক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খানজাহান আলী (র.) সেতুতে (রূপসা সেতু) বর্ণিল আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়।
খানজাহান আলী (র.) সেতু (রূপসা সেতু) সোমবার (১৬ মার্চ) রাতের এমন মনোমুগ্ধকর আলোঝলমলে দেখা গেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সেতুর টোল কর্তৃপক্ষ এমন আয়োজন করেছে। টোল প্লাজায় ড্রপ ডাউন ব্যানার টানানো হয়েছে। সেতু এলাকার বিভিন্ন পিলারে টানানো হয়েছে মুজিব বর্ষের ব্যানার ফেস্টুন।
দিনের সৌন্দর্য এক রকম ও সন্ধ্যার পর আলোকসজ্জায় সেতুর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেল। সেতুটি রাতে অন্যরকম এক দৃশ্য ধারণ করেছে। রূপসী রূপসা নদীর ঢেউগুলো যেন যখন আছড়ে পড়ছে আলোর প্রতিচ্ছবিতে ঝলমল করছে।
সন্ধ্যার পর থেকে সোডিয়াম বাতি এক সাথে নানা ধরণের বাতির আলোর রোশনাইয়ে জ্বল জ্বল করছে চারপাশ। মোহনীয় এক পরিবেশ আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
অনেকে চলার পথে গাড়ি থামিয়ে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে ছবি ও সেলফি তুলে ব্যস্ত থাকছেন। আবার কেউ কেউ ভিডিও কল ও ফেসবুকে লাইভ নিয়ে ব্যস্ত।
সেতুটির মাঝে দাঁড়ালেই মনে হবে যেন, রূপসার বুকে অসংখ্য তারা জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। আসলে তা নয়, বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে সেতুতে। যাতায়াত করছে দ্রুতগামী যানবাহন।
খুলনা শহরের রূপসা থেকে ব্রিজের দূরত্ব ৪.৮০ কিলোমিটার। এই সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা যায়। কারণ, সেতুটি খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর বিশেষত মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটিতে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে।
মো. ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, চলার পথে রূপসা সেতুর এমন আলোকসজ্জা দেখে এ দাঁড়িয়ে গেলাম। এতো দিনের দেখা সেতুটির সৌন্দর্য যেন আজ বহুগুণে বেড়ে গেছে। সেতু দেখে খুব ভালো লাগছে।
রূপসা সেতুতে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ইউডিসি-জিআইইটিসি জেভী-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহফুজ পারভেজ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রূপসা সেতুতে এমন বর্ণিল আলোকসজ্জার আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই তো রূপসা সেতুতে আলো জ্বলে। কিন্তু বিশেষ এ দিনটি উপলক্ষে জমকালো এ আলোকসজ্জা করেছেন। সৌন্দর্যবর্ধনে সেতুসহ সমগ্র এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। সড়ক ও জনপথের খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জর্জিস হোসেইন, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী দাশ ও নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ আলোকসজ্জা পরিদর্শন করেছেন।