মুগদা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসনের তথ্য দুদকে
অনিয়মের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসাবে করোনাভাইরাসের কালে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের আবাসনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবুল হাসেম সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জমা দিয়েছেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১২ জুলাই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং হোটেল একাত্তরের কাছে চিকিৎসক ও নার্সদের আবাসন সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-হকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহাজাহান মিরাজ।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র প্রয়োজন।
এই জন্য কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্যদের থাকা-খাওয়ার মূল্য (রেট/হার) নির্ধারণে হোটেল একাত্তরের সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের সত্যায়িত অনুলিপিসহ পরিশোধ করা অন্যান্য বিলের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।
পাঁচশ শয্যার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্সদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল হোটেল একাত্তরে। গত ২০ এপ্রিল থেকে ওই হোটেলে তারা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু হোটেলের সেবা নিয়ে চিকিৎসকরা সন্তুষ্ট ছিলেন না।
এক মাসে (২০ মে পর্যন্ত) চিকিৎসক-নার্সদের ওই হোটেলে থাকা-খাওয়ার বিল বাবদ ৩৫ লাখ পরিশোধ করে মুগদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এরপর হোটেল একাত্তরে থাকার ব্যবস্থ বাতিল করে চিকিৎসকদের জন্য গুলশানের ওরিয়েন্টাল হোটেল ঠিক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাশাপাশি ২৩ মে মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহ গোলাম নবীসহ চারজনকে অন্যত্র বদলি করে অধিদপ্তর।