November 26, 2024
আঞ্চলিক

মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির বয়স: গেজেট অবৈধ ঘোষণার রায় বহাল

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে সরকারের জারি করা গেজেট ও পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার রায় আপিল বিভাগেও বহাল থাকছে। হাই কোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে গিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ তাতে সাড়া দেয়নি।

সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলেছিল, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যাদের বয়স ১২ বছর ৬ মাস হয়নি, তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৫টি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ১৯ মে ওই গেজেট ও পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষ হাই কোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে চেম্বার আদালত ঘুরে তা আপিল বেঞ্চে আসে। রবিবার শুনানির পর আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ওমর সাদাত।

শুনানি শেষে আলতাফ সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে। এর মানে হচ্ছে, হাই কোর্টের রায় বহাল আছে। তবে হাই কোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের আবেদন) করার সুযোগ পাবে এবং সেক্ষেত্রে দ্রুত শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছে আপিল বিভাগ।

২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর যে পরিপত্রটি জারি করা হয় পরবর্তীতে সেটিই ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।

এরপর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আরেকটি গেজেটের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর জারি করা গেজেটে বয়স প্রতিস্থাপন করে ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স ১২ বছর ৬ মাস করা হয়।

এই দুটি গেজেট ও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ এর ২(১১) ধারা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক বয়সসীমা নির্ধারণের ধারার আংশিক চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধারা হাই কোর্টে পৃথক ১৫টি রিট অবেদন করেন।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *