November 25, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

মিয়ানমারের হয়ে ষড়যন্ত্রে বিদেশি এনজিও : ওবায়দুল

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বিদেশি কিছু এনজিও ‘মিয়ানমারের পক্ষ হয়ে’ রোহিঙ্গাদের নিয়ে ‘ষড়যন্ত্র করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানান খেলা খেলছে। পরোক্ষভাবে বিদেশি কিছু এনজিও ষড়যন্ত্র করছে। মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে।

গত ২২ অগাস্ট শরণার্থী প্রত্যাবসনের দ্বিতীয় দফা উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগ করা হয়, কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরতে নিরুৎসাহিত করছে। এরপর ওই অভিযোগ শুনে এনজিওগুলোকে চিহ্নিত করার সুপারিশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

তবে সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, কোনো এনজিওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তারা ‘মাঠের তথ্য’ পেতে চান। সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলছেন, ওইসব বিদেশি এনজিরও মধ্যে ‘পাকিস্তানপন্থি’ কয়েকটি এনজিও আছে। তবে কোনো সংস্থার নাম তিনি বলেননি।

এরা বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে পাকিস্তানে রেখেছে। আমাদের পাওনা আমাদের বুঝিয়ে দেন। পদে পদে আমাদেরকে বিপদে ফেলতে চান। খুনিদের ফিরিয়ে আনার উদ্দ্যোগ চলছে আমেরিকা, কানাডা থেকে। কিন্তু পাকিস্তানে যে দুই খুনি আছে, তাদের কাজসহ রেখে দিয়েছে পাকিস্তান। আমি জানি না এই পরিস্থিতির কবে পরিবর্তন হবে।

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিএনপিও এখন রোহিঙ্গা সঙ্কটকে ‘রাজনীতির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিএনপি আজকে এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে নতুন ইস্যু খুঁজে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। স্বাভাবিক রাজনীতি করতে যারা ব্যর্থ, নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে যারা বারে বারে ব্যর্থ হয়েছে, জনসমর্থন আদায়ে এখন তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।”

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন সেতুমন্ত্রী কাদের। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ‘মৌসুমী আয়োজন’ করে ডেঙ্গুর বিস্তার পুরোপুরি রোধ করা যাবে না।

মঞ্চে উপস্থিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে সামনে রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডেঙ্গু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলব, সারা বছরের প্রস্তুতি রাখতে হবে।

ভবিষ্যতেও এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে- এমন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দিনক্ষণ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। অগাস্টে পরিস্থিতি ভালো হয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাবে, আবার কোথাও কোথাও দেখছি সেপ্টেম্বরে আরও ভয়াবহ হবে। কাজেই দিনক্ষণ না দিয়ে, সারা বছরটাই দিনক্ষণ। এইসব রোগের বিস্তার রোধে, এইসব ব্যধির বিরুদ্ধে আমাদের সারা বছর প্রস্তুতি রাখতে হবে।

আর শুধু মশা মারার ওষুধ ছিটিয়েও ডেঙ্গুর বিস্তার ঠেকানো যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় ওষুধ হচ্ছে সচেতনতা। সেটা হচ্ছে মূল চিকিৎসা। আমি আশা করি এই লড়াইয়ে আমাদের চিকিৎসকরা সফল হবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এ আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব মো ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা এম এ আজিজ বক্তব্য দেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *