November 25, 2024
আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাখাইনে ইন্টারনেট বন্ধ

 

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ সংঘাত কবলিত পশ্চিম মিয়ানমারে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর তা কার্যকর করেছে টেলিকম কোম্পানিগুলো। শনিবার দেশটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অপারেটর টেলিনর গ্র“পের বিবৃতির বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাখাইনে মিয়ানমারের সরকার বাহিনীগুলো স্থানীয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে। এ লড়াইকে কেন্দ্র করে বিদ্যমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে নির্দেশটি দেওয়া হয়েছে।

টেলিনর গ্র“প জানিয়েছে, মিয়ানমারের যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রণালয় টেলিকম কোম্পানিগুলোকে রাখাইন ও প্রতিবেশী চিন রাজ্যের আটটি শহরে ‘সাময়িকভাবে’ ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।  অবৈধ তৎপরতার সমন্বয় করার জন্য ইন্টারনেটের উপদানগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে ও শান্তি বিঘ্ন করা হচ্ছে, নির্দেশের কারণ হিসেবে এমনটি বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। নির্দেশ কার্যকর করে শুক্রবার রাত থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে টেলিনর।

যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে মিয়ানমারের যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তিনি অন্য আরেকজন মুখপাত্রের কাছে প্রশ্নগুলো পাঠিয়ে দেন যিনি ফোন কলের কোনো উত্তর দেননি, জানিয়েছে রয়টার্স।

২০১৭ সালে সামরিক বাহিনীর দমনপীড়নের মুখে রাখাইনের সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার পর রাজ্যটির দিকে বিশ্বের চোখ যায়। মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে ওঠা ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, দলগত ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দেশটির সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহŸান জানায় জাতিসংঘ। কিন্তু এ ধরনের ব্যাপক ও গুরুতর অপরাধ করার কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী।

স¤প্রতি রাজ্যটিতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই শুরু হয়েছে। আরাকান আর্মি স্থানীয় বৌদ্ধ প্রধান রাখাইন জনগোষ্ঠীর লোকদের নিয়ে গঠিত। তারা রাজ্যটির আরও অধিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার তথ্যানুযায়ী, গত নভেম্বর থেকে দুপক্ষের লড়াইয়ের কারণে রাখাইনের মধ্য ও উত্তরাঞ্চল এবং প্রতিবেশী চিন রাজ্যের হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই অঞ্চলটির অধিকাংশ এলাকাতেই সাংবাদিক ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রবেশ সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে দুই দিন ইন্টারনেট কানেকশন দুর্বল ছিল বলে মধ্য রাখাইনের মারউক ইউ শহর থেকে আঞ্চলিক আইনপ্রণেতা টুন থের সেইন ফোনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইন্টারনেটের সাহায্যে সেখানে কী হচ্ছে লোকজন সে বিষয়ে আমাদের তথ্য দিতে পারতো এবং ছবিও পাঠাতো, কিন্তু এখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *