January 20, 2025
আন্তর্জাতিক

‘মিথ্যাবাদী’ ফ্লিনকে ক্ষমা করতে চান ট্রাম্প

সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমতা করে দিতে চান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে এফবিআইকে মিথ্যা বলায় ২০১৭ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ট্রাম্পের এই সাবেক সহযোগী।

সে সময় তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তার শেষ দিনগুলোতে বেশ কিছু মানুষকে ক্ষমা করতে চান। এরই ধারাবাহিকতায় ফ্লিনের নাম অন্তর্ভূক্ত করতে চান এই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছিলেন ফ্লিন। এই ঘটনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার আগেই ঘটেছে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ফ্লিনের গোপন বৈঠকের কথা সামনে আসে।

দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ২২ দিনের মাথায় ফ্লিনকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশে ওই তদন্ত হয়েছে এবং সাবেক আর্মি জেনারেল ও ডিফেন্স ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির প্রধান ফ্লিন ছিলেন একজন ‘ভালো মানুষ’।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেনকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা জানান ট্রাম্প। ওই সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।

২০১৩ সালে স্নোডেন জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির (এনএসএ) গুরুত্বপূর্ণ একটি ফাইলের তথ্য ফাঁস করে দেন। তার এমন কাজের কারণে সে সময় পুরো মার্কিন গোয়েন্দা কমিউনিটিতে তোলপাড় শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বহুদিন ধরেই স্নোডেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে গুপ্তচরবৃত্তির যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র চায় তিনি যেন তার অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হন।

২০১৩ সালে মার্কিন নিরাপত্তা এজেন্সির একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ফাঁস করার পরই রাশিয়ায় পালিয়ে যান স্নোডেন। রুশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে তাকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে আসছে। তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে এনএসএ’র অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নজরদারি অপারেশন সম্পর্কে তথ্য ফাঁস করেন।

স্নোডেনকে ক্ষমা করার বিষয়ে ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি এ বিষয়টি দেখছি। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি মনে করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাম এবং ডানপন্থি উভয়ক্ষেত্রেই স্নোডেনকে নিয়ে বিভক্তি রয়েছে। তার মতে, স্নোডেন যা করেছেন তা খুবই খারাপ ছিল। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, তার সঙ্গে অন্যরকম আচরণ করা উচিত ছিল।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *