মাহফুজা হত্যা: গৃহকর্মীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যা মামলার এক আসামিসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গতকাল নিউ মার্কেট থানায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- মাহফুজা চৌধুরীর বাসার গৃহকর্মী স্বপ্না ওরফে রিনা এবং রুনু নামের এক নারী, যার মাধ্যমে রিনা ওই বাসায় কাজ পেয়েছিলেন। স্বপ্নাকে নেত্রকোনার মদন থানার এলাকা থেকে এবং রুনুকে হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ জানান।
তিনি বলেন, রিনাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের সময় অধ্যক্ষের বাসা থেকে খোয়া যাওয়া স্বর্ণের চেইন ও সাত হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরি করার জন্যই তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
গত ১০ ফেব্র“য়ারি রাতে এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারে নিজের ফ্ল্যাট থেকে মাহফুজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন নিহতের স্বামী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসমত কাদের গামা দুই গৃহকর্মী রিনা এবং রেশমা ওরফে রুমাকে আসামি করে নিউ মার্কেট থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকেই রেশমা ও স্বপ্নাকে খুঁজছিল পুলিশ। মাস দেড়েক আগে তারা ওই বাসায় কাজ শুরু করেন।
উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, রুমা খুব ধূর্ত প্রকৃতির, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। তিনি জানান, মাহফুজা চৌধুরীর ডায়েরিতে স্বপ্না ও রেশমার ছবি রাখা ছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর সেই ছবি ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মাহফুজার মোবাইল ফোনেও তাদের ছবি ছিল, সেই মোবাইলটিও তারা নিয়ে যায়।
কাজ নেওয়ার সময় দুই গৃহকর্মী ভুয়া ঠিকানা দিয়েছিলেন মাহফুজাকে। এই অবস্থায় তদন্তে নেমে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। মারুফ হোসেন সরদার বলেন, পলাকত রেশমা ওরফে রুমার কোনো ছবি পাওয়া যায়নি, তার ঠিকানাও এখন পর্যন্ত পুলিশ জানতে পারেনি।
নগরবাসীদের উদ্দেশে পুলিশের এ উপ-কমিশনার বলেন, কোনো গৃহকর্মী বাসায় রাখতে হলে আগে তার ছবিসহ পরিচয় সংগ্রহ করতে হবে। ঠিকানা যাচাই করে নিতে হবে, এবং থানায় সবার তথ্য সরবরাহ করতে হবে।