মাশরাফি-রাজ্জাককে টপকে যাওয়ার হাতছানি
ইনিংসের শুরুতেই প্রতিপক্ষ শিবিরে আঘাত হানার কারণে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক সময় অটোমেটিক চয়েজ ছিলেন টাইগার পেসার আল আমিন হোসেন। তবে দীর্ঘদিন ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। ভারতের মাটিতেই খেলেছেন সবশেষ ম্যাচ, সেই ভারত সফর দিয়েই আবার বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন আল আমিন। অভিজ্ঞ এই পেসারের সামনে থাকছে মাশরাফি বিন মর্তুজা আর আবদুর রাজ্জাককে টপকে যাওয়ার সুযোগ।
আল আমিনের ভারত সফরের দলে জায়গা পাওয়াটাই ছিল বড় চমক। টেস্ট খেলা হয়নি ৫ বছর, ওয়ানডে খেলা হয়নি ৪ বছর। লাল-সবুজের জার্সিতে সবশেষ খেলেছেন ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, যেটি ছিল ওই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ।
এরপর আর জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে পারেননি আল আমিন। বাজে ফিল্ডিং, শৃঙ্খলাজনিত বিভিন্ন সমস্যায় থমকে যেতে বসেছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। এবার ক্যারিয়ারে নতুন গতি আনার সুযোগ পেয়েছেন আল আমিন।
আগামীকাল (রোববার ৩ নভেম্বর) দিল্লিতে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৭ ও ১০ নভেম্বর পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে রাজকোট ও নাগপুরে। তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে আল আমিনের সুযোগ থাকবে মাশরাফি আর রাজ্জাককে টপকে যাওয়ার। টি-টোয়েন্টিতে উইকেটশিকারের দিক দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ উইকেট সাকিবের দখলে। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ৭৬ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৯২ উইকেট। তালিকায় দুইয়ে আছেন মোস্তাফিজ, কাটার মাস্টারের দখলে আছে ৩৪ ম্যাচে ৫২ উইকেট। তিনে আছেন ৩৪ ম্যাচে ৪৪ উইকেট নেওয়া রাজ্জাক আর চারে আছেন ৫৪ ম্যাচে ৪২ উইকেট নেওয়া মাশরাফি।
এই তালিকায় পাঁচে আল আমিন। বাংলাদেশের হয়ে এই পেসার ২৫ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। আর মাত্র ৬টি উইকেট নিতে পারলে তিন নম্বরে চলে আসবেন তিনি। টপকে যাবেন মাশরাফি আর রাজ্জাককে। ৩৯ উইকেট নিয়ে আপাতত আল আমিনের সঙ্গী ভারতের পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, আরব আমিরাতের স্পিনার রোহান মুস্তাফা আর ইংল্যান্ডের পেসার ডার্নবাখ।