মাশরাফি ঝড়ে উড়ে গেল কুমিল্লা
ক্রীড়া ডেস্ক
কুমিলাকে মাত্র ৬৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। এমন একপেশে ম্যাচে জয়ের কৃতিত্ব শুধু মাশরাফি একা হয়তো নিতে চাইবেন না। কিন্তু মূল কৃতিত্ব যে তারই তা অস্বীকার কোনো সুযোগ নেই। অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়েই স্রেফ উড়ে গেছেন তামিম-স্মিথরা।
কুমিলার ছুড়ে দেওয়া ৬৩ রানের লক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ক্রিস গেইলের উইকেটটি হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর রাইডার্স। প্রথম দুই ম্যাচে স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে নামা হয়নি এই ক্যারিবীয় তারকার। এই ম্যাচে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। মাত্র ৫ বলে ১ রান করে কুমিলার আবু হায়দারের বলে উইকেটরক্ষক আনামুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
তবে গেইলের বিদায় বুঝতেই দেননি মেহেদি মারুফ ও রাইলি রুশো। দুজনে মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন। তাও ৪৮ বল বাকি থাকতেই। ৩৯ বলে ৬ চারে ৩৬ রানে মেহেদি ও ২৮ বলে ১ ছক্কায় ২০ রান অপরাজিত থাকেন রুশো।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি। বোলিং করতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংসে বড় আঘাতটা হানেন মাশরাফি নিজেই। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১১ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। ইকোনমি মাত্র ২.৭৫, ডট বল ১৮টি!
কুমিল্লার প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানই মাশরাফির শিকার। এদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। দলীয় ১০ রানে কুমিল্লার ওপেনার তামিম ইকবালকে (৪) ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে উইকেট শিকার শুরু করেন ম্যাশ। এরপর এভিন লুইস, ইমরুল কায়েস ও কুমিল্লার অধিনায়ক স্মিথের (০) উইকেট তুলে নেন তিনি।
মাশরাফির বোলিং তোপে বিধ্বস্ত কুমিল্লার ইনিংসে আঘাত হানেন রংপুরের শফিউল ইসলাম। কোনো রানের দেখা পাওয়ার আগেই মালিককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান এই ডানহাতি পেসার। পরে সাইফউদ্দিনকেও (৭) আউট করেন শফিউল।
মাঝে ব্যাট হাতে ফের দাঁড়িয়ে যান শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু দলীয় ৫৫ রানে অষ্টম উইকেট হিসেবে বিদায় নিতে হয় তাকেও। নাজমুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করেছেন এই সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক।
বল হাতে মাশরাফি একাই ৪ উইকেট পেয়েছেন ঠিকই, ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন নাজমুল ইসলাম। ২ ওভারে ৮ রান খরচে ২ উইকেট নিয়ে পার্শ্ব চরিত্রে ছিলেন শফিউল ইসলামও। ২ ওভারে ১১ রান খরচে বাকি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ফরহাদ রেজা।
বল হাতে একের একের পর এক তোপ দাগানো মাশরাফির হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। চলতি আসরে এই নিয়ে তিন ম্যাচে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো রংপুর রাইডার্স। অন্যদিকে ২ ম্যাচ খেলা কুমিলার এটি প্রথম পরাজয়।