মালয়েশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশিসহ নিহত ১১
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শ্রমিক বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নালায় পড়ে পাঁচ বাংলাদেশিসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৩৩ জন। রোববার রাত ১১টার দিকে সেপাংয়ে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন নারীসহ দশজনই বিদেশি কর্মী। তাদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি, তিনজন ইন্দোনেশীয় এবং দুজন নেপালি। নিহত অন্যজন মালয়েশিয়ার নাগরিক, তিনি ওই বাসের চালক ছিলেন।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার দেবপুর ৪নং ওয়ার্ডের মো আনোয়ারের ছেলে সোহেল (২৪), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার চরভাগল ৩নং ওয়ার্ডের মো. আমির হোসেনের ছেলে আল আমিন (২৫), কুমিলা জেলার লাকসাম থানার দুরলবপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মহিন (৩৭), কুমিলা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসানপুর কলেজ পাড়ার ঢাকাগাঁও গ্রামের মো. ইউনুস মুন্সির ছেলে মো. রাজিব মুন্সি (২৭) এবং নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার নোয়াখোলা ২নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদের ছেলে গোলাম মোস্তফা।
এছাড়া, আহত ৭ বাংলাদেশি হলেন নাজমুল হক (২১), রজবুল ইসলাম (৪৩), ইমরান হোসেন (২১) জাহিদ হাসান (২১), শামিম আলী (৩২), মো. ইউসুফ (২৭), মো. রাকিব (২৪)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পুত্রজায়া হাসপাতালে এবং বাকি চারজন সেরডং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো লিখেছে, কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের এমএএস কার্গো কমপ্লেক্সের ৪৩ জন কর্মী ছিলেন ওই বাসে। রাতের পালার ডিউটির জন্য বিভিন্ন হোস্টেল থেকে তাদের নিয়ে কার্গো কমপ্লেক্সে যাওয়ার সময় বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। চাকা পিছলে গিয়ে বাসের সামনের অংশ রস্তার পাশের গভীর নালায় পড়ে যায়।
পুলিশ ও এমএএস কার্গো কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্ট্রেইটস টাইমস জানায়, ওই বাসের মালয়েশীয় চালক এবং আটজন বিদেশি শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
জেলা পুলিশের সহকারী কমিশনার জুলফিকার আদমশাহ বলেন, আমরা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ ফাদিল সালেহ বলেন, তারা ওই দুর্ঘটনার খবর পান রাত সোয়া ১১টার দিকে। আরোহীরা ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। বাসের কয়েকটি অংশ কেটে তাদের বের করতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।