মালালাকে গুলি করা সেই জঙ্গির কারাগার থেকে পলায়ন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নোবেলজয়ী সমাজকর্মী মালাল ইউসুফজাইকে গুলি করা জঙ্গি এহসানুল্লাহ এহসান পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এক কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, জঙ্গি সংগঠন তেহরীক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র এহসানুল্লাহ এহসান কারাগার থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এক অডিও রেকর্ডিংয়ে এহসান দাবি করেন, গত ১১ জানুয়ারি কারাগার থেকে পালিয়েছেন তিনি। ইসলামাবাদ সূত্রে অডিওর কণ্ঠস্বর এহসানের বলে নিশ্চিত করা হয়।
ওই অডিওতে উর্দু ভাষায় এহসান দাবি করেন, গত তিন বছর আইন মেনে চলার পরও পাকিস্তানের অসৎ ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান তাকে ও তার পরিবারকে ধোঁকা দিয়েছে। টিভি সাক্ষাৎকারে বিবৃতি দিতেও তাকে বাধ্য করা হয়েছে। শিগগিরই এ ষড়যন্ত্রের পেছনে জড়িত পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করে দেবেন বলেও জানান তিনি।
জামাত উল আবরার নামে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠনেরও মুখপাত্র এহসান পাকিস্তানে সংগঠিত বেশ কিছু জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর আগে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে পাকিস্তান সরকার।
২০১২ সালে মালালাকে গুলি করেন এহসান। তালেবানের নির্দেশ অমান্য করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় তাকে গুলি করা হয়। এছাড়া, ২০১৪ সালে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে জঙ্গি হামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। ওই হামলায় ১৩৪ শিশুশিক্ষার্থী ও স্কুলের ১৫ কর্মী নিহত হয়েছিলেন। রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে শিয়াদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাÐে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে ইস্টারের সময় লাহোর পার্কে বোমা হামলায় ৭৫ জন নিহত ও তিনশ’ জন আহত হওয়ার ঘটনায়ও জড়িত ছিলেন এহসান।
২০১৭ সালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন এহসান। এরপরই পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এহসান দাবি করেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করছিলেন তিনি। গত তিন বছর কারাগারে থাকার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো চার্জশিট দেয়নি পাকিস্তান সেনাবাহিনী।