November 25, 2024
জাতীয়শীর্ষ সংবাদ

মার্চে শেষের দিকে ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের বাণিজ্য সচিব

 

মার্চের শেষের দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের বাণিজ্য সচিব বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে ভারতের সম্মতি আশা করছে। এ বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে সফর শুরু হবে।

সূত্র আরও জানিয়েছে জানিয়েছে, আসন্ন বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের আলোচনায় সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ), বাংলাদেশি পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর থেকে এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার, কিছু বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, নিত্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয় প্রাধান্য পাবে।

সূত্র জানায়, একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং সরবরাহ চেইন গড়ে তোলার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ‘খুব শিগগির শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল গত বছরের মার্চে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। পরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিইপিএ বিষয়ে একটি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানো হয়।

যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয় যে, সিইপিএ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের টেকসই বৃদ্ধিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি যোগাবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, জীবনযাত্রার মান বাড়াবে এবং বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করবে।

পরে দুই প্রতিবেশীর বৃহত্তর অর্থনৈতিক সুবিধার স্বার্থে উভয় দেশ সিইপিএ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চুক্তির বিষয়টি স্থান পায়। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে আলোচনায় সিইপিএ’র গুরুত্ব উঠে আসে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয় পক্ষের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর্যায়ে সিইপিএ নিয়ে আলোচনা দ্রুত ও যথাসময়ে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে। রফতানি ২০২০-২১ সালের ৯.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ সালে ১৬.১৫-এ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

ভারতে বাংলাদেশের রফতানিও গত কয়েক বছরে আকর্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভারতে বাংলাদেশের রফতানি ২০২১ সালের ১.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে ২০২২ সালে ১.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাসস।

শেয়ার করুন: