মার্কিন সীমান্তে হয়রানির শিকার ইরানিরা
ইরানি ও ইরানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান অনেক নাগরিক মার্কিন সীমান্তে হয়রানি বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হচ্ছেন। মার্কিন হামলায় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ায় দু’দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর তাদেরকে এমন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ কাউন্সিল অন অ্যামেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) জানায়, তারা ৬০ জনের বেশি ভ্রমণকারীকে সহযোগিতা করেছে। কানাডার সাথে লাগোয়া ওয়াশিংটন রাজ্যের সীমান্তে সপ্তাহান্তে তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে আটক রাখা হয় এবং সেখানে তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এসব ভ্রমণকারীর অনেককে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল (সিবিপি) সংক্রান্ত কাগজপত্রের অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ক্রিস্টাল নামের ২৪ বছর বয়সী একজনের বরাত দিয়ে সিএআইআর জানায়, ওয়াশিংটন রাজ্যের ব্লাইনে পিচ আর্চ বর্ডার ক্রসিংয়ে তাকে আটক করে ১০ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময়ে সাথে তার পরিবার ছিল। পরে রোববার তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
তাদেরকে কেন আটক রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে পরিবারটি জানতে চাইলে সিবিপি এজেন্টরা জানান, ‘আপনাদের ভ্রমণের জন্য এটি একটি ভুল সময়।’
সিএআইআরের ওয়াশিংটন চ্যাপ্টারের নির্বাহী পরিচালক মসিহ ফৌলাদি বলেন, ‘এ ধরনের খবর খুবই দু:খজনক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী মার্কিন নাগরিকদের এভাবে আটক রাখা একেবারে অবৈধ। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বিভিন্ন বন্দরে ইরানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিকদের আটক রাখার খবর যাচাইয়ে কাজ করছি যাতে আমরা সঠিক ভ্রমণ নির্দেশনা দিয়ে কমিউনিটি সদস্যদের সহায়তা দিতে পারি।
এদিকে সিবিপি কর্মকর্তারা এ খবরকে বিতর্কিত উল্লেখ করে বলেছে ছুটির মৌসুম এবং ট্রাভেলার স্টাফদের ঘাটতির কারণে কিছুটা জটিলতা তৈরী হওয়ায় সীমান্তে বিলম্বের ঘটনা ঘটছে।
তারা জোর দিয়ে বলছে যে এ সংস্থা ধর্মের কারণে কাউকে হয়রানি করছে না।