মার্কিন রণতরীর বরখাস্ত ক্যাপ্টেন করোনায় আক্রান্ত
মার্কিন নৌবাহিনীর সমালোচনা করে বরখাস্ত হওয়া যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী থিওডোর রুজভেল্টের ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ারের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
সোমবার (০৬ এপ্রিল) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানায়।
তবে মার্কিন নৌবাহিনীর মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) ওই রণতরী থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ক্রোজিয়ারকে। তখনই তার শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।
রণতরীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরায় পড়ায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে চিঠি লিখে সেটি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল ক্রোজিয়ারকে।
গত শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) মার্কিন নৌবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি থমাস মডলি ক্যাপ্টেন ক্রোজিয়ারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন। পাঁচ হাজার ক্রু বিশিষ্ট পরমাণুশক্তি চালিত রণতরীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে ওই চিঠি ব্যাপকভাবে প্রচার করে ক্রোজিয়ার নিম্ন বিচারবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন মডলি।
চিঠি ফাঁস হওয়ার দু’দিনের মাথায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ওই চিঠির মাধ্যমে ক্যাপ্টেন ক্রোজিয়ার গোপনীয়তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন মডলি। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই, আমি এরকম কোনো ইঙ্গিতও দিচ্ছি না যে তিনি (ক্রোজিয়ার) তথ্য ফাঁস করেছেন। তবে তিনি ওই চিঠি ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন এবং সেটি যেন ফাঁস না হয় সে সুরক্ষা নিশ্চিত করেননি; এটিও তার দায়িত্বের অংশ ছিল। তার এ কাজ অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।’
বিতর্ক তৈরি করা ওই চিঠিতে ক্রোজিয়ার বলেছিলেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে নেই। নাবিকদের মৃত্যুর প্রয়োজন নেই। পরমাণুশক্তি চালিত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থেকে বেশিরভাগ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়ে তাদের দু’ সপ্তাহের জন্য আইসোলেশনে রাখা অসামান্য একটি সিদ্ধান্ত হলেও এ ঝুঁকি নেওয়া এখন প্রয়োজন। করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, আমাদের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য সম্পদ এই নাবিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হবে নৌবাহিনী।’
ক্রোজিয়ারকে পদাবনতি দেওয়ার সমালোচনা করে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে ক্রুদের রক্ষায় চেষ্টারত যুদ্ধজাহাজের কমান্ডারকে শাস্তি দিয়ে নিম্ন বিচারবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।’