মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাক্ষাৎ দিলেন না এরদোয়ান!
ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য সফরে বেরোনো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সাক্ষাৎ চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) তুরস্কের একটি সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মিশরীয় গণমাধ্যম দ্য নিউ আরব।
পম্পেওর সফরসূচি অনুসারে, তিনি সোম ও মঙ্গলবার তুরস্ক ভ্রমণ করছেন। এ সফরে পম্পেও ইস্তাম্বুলে গ্রিক অর্থোডক্স যাজক বার্থোলোমিউ ওয়ানের সঙ্গে দেখা করছেন। এর বাইরে তুরস্কের ঊর্ধ্বতন কোনো সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ নেই তার।
‘হাবের তুর্ক’ নামে স্থানীয় ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সফরের আগে পম্পেও’র তরফ থেকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ আবেদন পাঠানো হয়। এরদোয়ানের বাসভবন আঙ্কারায় হলেও ওই আবেদনে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট যদি ইস্তাম্বুলে থাকেন’ তাহলে সাক্ষাৎ করতে চান পম্পেও।
এই আবেদন সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের কার্যালয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মার্কিন কূটনীতিকদের ‘আচরণ’কে (আবেদনের ধরন) দায়ী করা হয়।
এর আগে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরস্কের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, পম্পেওকে আঙ্কারায় দেখা করার আমন্ত্রণ জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। কিন্তু তাতে অসম্মতি জানিয়ে উল্টো কাভুসোগলুকে ইস্তাম্বুলে আসতে বলেন পম্পেও
সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ হয়ে যে মার্কিন কর্মকর্তারা মাঝখানে দূতিয়ালি করেছেন, তাদের আচরণের বিষয়ে প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সূচিজনিত জটিলতার’ কারণে মার্কিন কর্মকর্তারা আঙ্কারায় যেতে পারেননি। ‘অসম্মান করার’ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা ঊর্ধ্বতন তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেননি, বিষয়টি মোটেই এমন নয়।
গত সপ্তাহে তুরস্কে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর দেয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে আঙ্কারা। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তৈরি হওয়া কিছুটা উত্তেজনার মধ্যে পম্পেও তুরস্কে গেলেন।
অবশ্য তুরস্কের হায়া সোফিয়াকে মসজিদ হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রায় চার মাস পর অর্থোডক্স যাজক বার্থোলোমিউর সঙ্গে পম্পেওর এ সাক্ষাৎকে আগে থেকেই সরল চোখে দেখছিল না আঙ্কারা। কারণ, হায়া সোফিয়াকে মসজিদ রূপে ফেরানোয় তুরস্কের সমালোচনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সব মিলিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হওয়ায় পম্পেওর এই সফরের উদ্দেশ্যকে ‘একেবারেই যথাযথ নয়’ বলে মন্তব্য করেছে তুরস্ক।