মানহানি মামলা: শাজাহান খানের ব্যাখ্যা চায় আদালত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মানহানির অভিযোগ তুলে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে পরিবহন শ্রমিকদের নেতা, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের করা মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা ইলিয়াস কাঞ্চনের
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদী শাজাহান খানকে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছে।
এ আদালতের সেরেস্তাদার জাহাঙ্গীর আলম আলো জানান, মামলার গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি করে বিচারক এই আদেশ দেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের পক্ষে গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবী মো. রেজাউল করিম।
বুধবার ঢাকার এক নম্বর যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে এই মামলা দায়ের হয়। এই মামলা করতে ৫৭ হাজার ৫০০ টাকার কোর্ট ফি দিতে হয়েছে এক সময়ের ব্যস্ততম চলচ্চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে। কয়েক মাস আগে সরকার সড়ক পরিবহন আইন কঠোর করলে পরিবহন শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়েন নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে সক্রিয় ইলিয়াস কাঞ্চন।
এর মধ্যেই গত ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে কাঞ্চনের সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজহান খান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মানহানির মামলাটি হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘ইলিয়াস কাঞ্চন কোথা থেকে কত টাকা পান, কী উদ্দেশ্যে পান, সেখান থেকে কত টাকা নিজে নেন, পুত্রের নামে নেন, পুত্রবধূর নামে নেন, সেই হিসাবটা আমি জনসম্মুখে তুলে ধরব’। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ওই ‘মিথ্যা বক্তব্য’ প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘণ্টার নোটিস দেওয়া হয়েছিল শাজাহান খানকে। কিন্তু তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা করেননি।
অ্যাডভোকেট রেজাউল বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন থেকে সরিয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে মনগড়া, মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন বিবাদী। ইলিয়াস কাঞ্চন তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই মামলা করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাজাহান খানের প্ররোচনায় গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট ডেকে ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিতে জুতার মামলা পরিয়ে এবং তার কুশপুতুল পুড়িয়ে সামাজিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে।