মানবতাবিরোধী অপরাধ: জামিন চেয়েছেন বানিয়াচংয়ের মধু মিয়া
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নের মো. মধু মিয়া তালুকদার ওরফে মো. মধু মিয়া জামিন চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন।
রোববার (৯ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এরআগে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি মধু মিয়াসহ দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তদন্ত সংস্থা।
ওইদিন সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে তদন্ত শুরু হয়। গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ এ ধরনের অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে আসামি মধু মিয়া এবং তার বংশের লোকজন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সে বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নে পিস কমিটি ও ‘মধু বাহিনী’ নামে একটি রাজাকার দল গঠন করে বলে সাক্ষীদের থেকে জানা যায়। তখন এ আসামি ওই রাজাকার কমিটির কমান্ডার ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর সে পলাতক থাকে। ১৯৭৬ সালে সে নিজ গ্রামে ফিরে এসে বিএনপিতে যোগদান করে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি থেকে বানিয়াচং থানাধীন মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। ২০১৮ সালের ২৩ মে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
রোববার তার আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান জানান, তার কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা আছে। এ কারণে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।